মেয়েদের জরায়ুর ক্যানসার প্রতিরোধে ১৫ অক্টোবর থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন এলাকায় বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।
Advertisement
প্রথম পর্যায়ে এই কর্মসূচি চলবে মোট ১৮ দিন। এরমধ্যে প্রথম ১০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও স্থায়ী কেন্দ্রগুলোতে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। পরবর্তী আটদিন নিয়মিত ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে ও স্থায়ী কেন্দ্রের মাধ্যমে দেওয়া হবে।
টিকা গ্রহণে উপযুক্ত মেয়েরা Vaxepi অ্যাপ অথবা vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন প্রায় ১২০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং ৬৮০টি মনোনীত টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে এইচপিভি টিকা নিতে পারবে। ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের অন্য বিভাগের মেয়েদেরও দেওয়া হবে এই টিকা।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স- গ্যাভির সহায়তায় এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। কর্মসূচির আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বসবাসরত পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী এবং স্কুলে পড়ে না এমন ১০-১৪ বছর বয়সী এক লাখ ৮৯ হাজার ৪৫১ মেয়েকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে। ঢাকা বিভাগে ২৩ লাখ কিশোরীকে দেওয়া হবে এই টিকা।
করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান বলেন, এই টিকা আমাদের মেয়ে শিশুদের জন্য খুবই দরকারি। এ রোগে আক্রান্ত হলে নারীদের জরায়ু কেটে ফেলতে হয়। আর এ রোগটি শুধু নারীদেরই নয়, পুরুষদের ছড়ায়। তবে পুরুষদের চেয়ে নারীদের আক্রান্তের হার বেশি ও স্বাস্থ্যগত প্রভাবও বেশি। টিকাটি অনেক ব্যয়বহুল। সরকার বিনামূল্যে দিচ্ছে এই টিকা।
করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, বাংলাদেশ সরকার জরায়ুমুখ ক্যানসারের অন্যতম কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) প্রতিষেধক টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে, যা একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো, দেশের লাখ লাখ মেয়েকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে রক্ষার মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা।
এমএমএ/জেডএইচ/জিকেএস
Advertisement