ব-দ্বীপ হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ভারতের দিল্লিতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা, পি২০ ইস্যু, জি২০ সামিট, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ ও জলবায়ু সমস্যা ইত্যাদি প্রসঙ্গে আলোচনা করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় উভয় দেশের সংসদ সদস্যরা সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারে।
Advertisement
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ-ভারত আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা সাদৃশ্যপূর্ণ। এ ধরনের সমস্যা সমাধানে দুই দেশ একযোগে কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, পি২০ সম্মেলনটি খুবই সময়োপযোগী। ‘ওয়ান আর্থ, ওয়ান ফ্যামিলি, ওয়ান ফিউচার’- স্লোগান সামনে রেখে দুদেশের সংসদ সদস্যরা অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়নে নিবেদিত হতে পারে।
তিনি বলেন, সংসদ জনগণের কণ্ঠস্বর। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে বাংলা আবালবৃদ্ধবনিতা অংশগ্রহণ করেছিল। এসময় তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষ অবলম্বনের জন্য এবং সারা বিশ্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য প্রচারণা চালানোর জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি ভারতের নতুন সংসদ ভবনের প্রশংসা করেন এবং জি২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ভারতের লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও সুদৃঢ় হবে। দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে এবং পারস্পরিক সহযোগিতায় পূর্বের ন্যায় ভবিষ্যতেও ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
Advertisement
এসময় ওম বিড়লা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের এবং স্পিকার হিসেবে শিরীন শারমিন চৌধুরীর অভিজ্ঞতার প্রশংসা করেন।
এসময় জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম. এ কামাল বিল্লাহ, যুগ্ম-সচিব মো. তারিক মাহমুদ ও উপসচিব মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীসহ ভারতের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইএইচআর/এমকেআর/জেআইএম