ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে গ্রুপের শেষ ম্যাচ এখন নক-আউট। যেন অলিখিত ফাইনাল। হারলেই শেষ। জিতলে সেমিফাইনালের টিকিট। ফলে গ্রুপ পর্বের এই ম্যাচটি নিয়ে সৃষ্টি হলো দারুণ উত্তেজনা। এমন অবস্থায় ভারতের সামনে ঘরের মাটিতে সমর্থকদের বিপুল প্রত্যাশার চাপ তো থাকবেই। মোহালির আইএস বিন্দ্রা স্টেডিয়ামে রোববার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া।সুপার টেনের গ্রুপ-১ কে কেন ‘ডেথ অব গ্রুপ’ বলা হচ্ছিলো, তা এবার প্রমাণ পাওয়া গেলো। নিউজিল্যান্ড সবার আগে সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেললেও, গ্রুপের শেষ ম্যাচের আগ পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছে না দ্বিতীয় দল হিসেবে কে উঠবে সেমিতে। প্রথম থেকেই দারুণ ক্রিকেট খেলে টানা চার ম্যাচ জিতে এখনো পর্যন্ত বিশ্বকাপের অপ্রতিরোধ্য দল নিউজিল্যান্ড।টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে এগিয়ে ভারতই। এই ক’দিন আগেও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শেষ সিরিজও জিতে নিয়েছিল ভারত। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এগিয়ে ভারতই। প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারলেও, পরের দুই ম্যাচে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে হারিয়ে আপাতত কিছুটা ভালো অবস্থানে ভারত।একই অবস্থা অস্ট্রেলিয়ারও। তারাও নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে শুরু করে। এরপর হারিয়েছে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানকে। যার ফলে রোববার মোহালিতে লড়াই হবে সমানে সমানে। আবার ভারতের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া এখনো একটিও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতেনি। সব মিলে ইতিহাস বলছে ভারত; কিন্তু ক্রিকেট বদলে দিতে পারে যেকোনো হিসেব।যদিও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে বেশি ভাবতে রাজি নন বিরাট কোহলি। বরং এরকম টানটান উত্তেজনার অবস্থা থেকে কোহলি নিজেকে বেশি করে মেলে ধরতে পারেন বলেই দাবি করেছেন তিনি। বলেন, ‘এটা এমন একটা ফরম্যাট যেখানে লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে। পুরো ১২০ বলেই ব্যাট করার সময় ফোকাস কোনোভাবে নষ্ট হলেই শেষ। ফিল্ডিংয়ের সময়ও একইভাবে ঠিক রাখতে হবে। এটাই একমাত্র যা আমরা করতে পারি।’এদিকে পুরো টুর্নামেন্টে এখনও ভারতীয় দলে কোনো পরিবর্তন আনেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচেও দলে কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভবনা নেই। অথচ, অস্ট্রেলিয়া দলে প্রায় প্রতি ম্যাচেই পরিবর্তন করেছে। ১৫ জনের দলের ১৪ জনকেই খেলিয়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। বাকি রয়েছেন শুধু অ্যান্ড্রু টাই।নিজেদের মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। সেই একই দলই ধরে রেখেছে ভারত। ভারত শেষ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলেছে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে। মোহালির পিচ কিন্তু আগের ম্যাচেই প্রমাণ দিয়েছে রান উঠবে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়াই ১৯৩ রানের ইনিংস খেলেছিল। শেষ পাঁচটি টি২০তে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জিতেছে ভারতই।অস্ট্রেলিয়া শেষ জয় এসেছিল ২০১২তে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জেমস ফকনার প্রথম কোনো বোলার যে একটি টি২০ ম্যাচে পাঁচটি উইকেট নিলো। শেন ওয়াটসন বলেন, ‘আমার পুরো ক্যারিয়ার দিয়ে বুঝেছি এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ; কিন্তু এটাও ঠিক টুর্নামেন্টের এটা আরো একটা ম্যাচ।’আইএইচএস/বিএ
Advertisement