বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কূটকৌশল গ্রহণ করতে চায় কতৃর্ত্ববাদী আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। কিন্তু এবার তা কোনোক্রমেই সম্ভব নয় বলেই আওয়ামী সরকার হিংস্র হয়ে উঠেছে। আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্রই জনগণ বরদাশত করবে না। সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবেই। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
Advertisement
এদিন রাজধানীর রমনায় ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স—বাংলাদেশ মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কনভেনশন চলাকালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ বিবৃতি প্রদান করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বিরোধী দলীয় কোনো নেতাকর্মীকে আটক এবং হদিস না দেওয়া ভয়াবহ অমানবিক কাজ। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতায় থেকে এ ধরনের ঘটনাকে একটি সংস্কৃতিতে পরিণত করেছে। রাষ্ট্রের মদতে এখনো বিরোধী দল নিধনে বেপরোয়া কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। ২০১৮ সালের মিডনাইট নির্বাচনের পর থেকেই সরকার নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ভয় পাচ্ছে। আওয়ামী সরকারের বিনাভোটে ক্ষমতায় থাকার লালসা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ ক্ষমতায় থাকলেই লাখ কোটি টাকা পাচার করে বিদেশে পরিবার-পরিজনদের বিত্তবিলাসে রাখা যায়। সেজন্য অবৈধ শাসকগোষ্ঠী গুম, গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও বিচার বহির্ভূত হত্যার মতো নিষ্ঠুর কাজ অব্যাহত রেখেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিরোধী দল শুন্য না করলে দেশে নব্য বাকশালি ব্যবস্থা কায়েম করা সম্ভব নয় বলেই বিরোধী দল ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে হরণ করতে ধারাবাহিকভাবে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অদৃশ্য করা হচ্ছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যাওয়া ও হদিস না দেওয়ার লোমহর্ষক ঘটনা নিঃসন্দেহে অশুভ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ নিখোঁজ থাকার ঘটনায় তার পরিবার ও বিএনপি নেতাকর্মীরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
Advertisement
এসময় সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে অবিলম্বে প্রকাশ্যে হাজির করার দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
কেএইচ/কেএএ