তথ্যপ্রযুক্তির এ সময় অনলাইন চ্যাটিংয়ে কে সত্য আর কে মিথ্যা বলছেন, তা বোঝা মুশকিল। এ কারণেই অনলাইনে প্রতরণার সম্মুখীন হন অনেকেই। যদিও চ্যাটিংয়ে কেউ মিথ্যা বলছেন কি না তা যাচাই করা মুশকিল। তবে কয়েকটি লক্ষণে কিন্তু তা ধরতে পারবেন আপনিও-
Advertisement
১. চ্যাটিংয়ে অনেকেই নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক ধরনের ঘটনা কারও সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন। আপনি যার সঙ্গে চ্যাটিং করছেন তিনিও যদি তার জীবনের কোনো ঘটনা বলে, তাও আবার কোনো প্রেক্ষাপট ছাড়াই তাহলে বুঝবেন নিশ্চয়ই ওই কাহিনিতে কোনো কিন্তু আছে!
কারণ সবাই নিজেকে ভালো রেখে অন্যদের উপর দোষ দিতে পছন্দ করেন। তিনি যদিও একইভাবে নিজেকে ভালো রেখে অন্যদেরকে খারাপ বলেন তাহলে বুঝতে হবে ওই ব্যক্তি অর্ধে সত্যি আর অর্ধেক মিথ্যা মিশিয়ে আপনাকে গল্পটি শোনাচ্ছেন।
২. ধরুন আপনি হঠাৎ করেই চ্যাটিংয়ে কাউকে একটি প্রশ্ন করলেন, আর তিনি যদি সেটি দেখেও দ্রুত উত্তর না দেন তাহলে বুঝতে হবে নিশ্চয়ই ওই ব্যক্তি আপনার প্রশ্নের উত্তরটি নিয়ে ভাবছেন।
Advertisement
আর আপনি যদি এ প্রান্ত থেকে দেখেন চ্যাটিংয়ের উপরে টাইপিং শব্দটি লেখা অর্থাৎ ওই ব্যক্তি লিখছেন আর লিখছেনই!
অর্থাৎ তিনি কি লিখবেন তা টের পাচ্ছেন না কিংবা সময় নিচ্ছেন। এমন ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি যে উত্তর দেবেন তা সত্যি না হওয়াটাই স্বাভাবিক। তিনি যদি সত্যিই বলতেন তাহলে ওই প্রশ্নের উত্তর দিতে তার এতোটা সময় লাগতো না!
৩. আপনার প্রশ্নের বিপরীতে যে উত্তর দেওয়া হয়েছে তা কী খুব জটিল। অর্থাৎ বিষয়বস্তুকে যদি তিনি কিছুটা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে উত্তর দেন তাহলে বুঝবেন তিনি প্রশ্নটি এড়িয়ে যাচ্ছেন।
এক্ষেত্রে আবার অনেকেই ইমোজি বা চিহ্ন ব্যবহার করেন। এমন ব্যাক্তিরা প্যাথলজিক্যাল মিথ্যাবাদী। তাদের নৈপুণ্যে মিথ্যাটি ধরতে এলোমেলো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন।
Advertisement
৪. আর যদি কেউ আপনার প্রশ্ন শুনেও সেটি এড়িয়ে যায় কিংবা রিপ্লাই না দেন তাহলেও বুঝতে হবে ওই ব্যাক্তি কোনো কিছু গোপন করছেন আপনার কাছ থেকে।
এক্ষেত্রে অনেকেই ‘জিটুজি’ লিখে রিপ্লাই করেন। এর অর্থ হলো গোট টু গো। চ্যাটিংয়ে কারও প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার এটি সহজ এক টেকনিক।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এমএস