দেশজুড়ে

মিরসরাইয়ে ফের বেড়েছে ডিমের দাম

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ফের বেড়েছে ডিমের দাম। মানা হচ্ছে না সরকারি নির্দেশনা। কিছুদিন আগে ডিম আমদানির খবরে দাম কমে গেলেও আবারও বাড়তে শুরু করে ডিমের বাজার। খুচরা বাজারে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩-১৪ টাকায়। অথচ গত মাসের শুরুতে খুচরা বাজারে প্রতি পিস ডিম ১২ টাকায় বিক্রির জন্য দাম নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

Advertisement

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার ভারত থেকে কয়েক দফায় ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে ছোট ও মাঝারি খামারিরা লোকসানের আশঙ্কায় লেয়ার মুরগি বিক্রি করে দিয়েছেন। এছাড়া বর্তমানে সবজির দাম বাড়তি থাকায় ডিমের ওপর চাপ বেড়েছে। একদিকে চাহিদা বেড়েছে, আবার অন্যদিকে সরবরাহ সংকট, তাই ডিমের বাজার বাড়তি রয়েছে।

বারইয়ারহাট পৌর বাজারে ডিমের আড়তে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি ১০০ ডিম বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকায়। ডিমের বৃহৎ আড়ত টাঙ্গাইল থেকে সেই ডিম কিনতে হচ্ছে এক হাজার ১৫০ টাকায়। অন্যদিকে বড়তাকিয়া খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকায়। এছাড়া বিভিন্ন গ্রামীণ দোকানে প্রতি পিস ডিম বিক্রি করছে ১৪ টাকায়।

মিরসরাই পৌর বাজারে কথা হয় ক্রেতা ফজলুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও আমরা সেই দামে কিনতে পারছি না। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে ক্রেতারা অসহায়। প্রশাসন অভিযান চালিয়ে জরিমানা করে, তারপরও দাম নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। দাম বাড়ার পর থেকে বাধ্য হয়ে দুটির বেশি ডিম কিনি না।

Advertisement

আরও পড়ুন: ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ, আমদানির সিদ্ধান্ত 

উপজেলার ধুম ইউনিয়নের মৌলভীবাজারের দোকানি সেলিম উদ্দিন বলেন, আমি পাইকারিভাবে প্রতি পিস ডিম কিনেছি ১২ টাকা করে। পরিবহন খরচ রয়েছে আবার অনেক ডিম নষ্ট হয়ে যায়। প্রতি পিস ডিম ১৪ টাকায় বিক্রি না করলে লাভ হবে না। যখন কম দামে কিনেছি, তখন তো কম দামে বিক্রি করেছি।

বারইয়ারহাট পৌর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হেদায়েত উল্লাহ বলেন, ডিম আমদানি হচ্ছে এ খবরের পর থেকে অনেকে খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। কারণ এখন ডিম উৎপাদনের খরচ অনেক বেশি। বিশেষ করে মুরগির খাবারের দাম বাড়তি। অন্যদিকে ডিম আমদানি হয়নি, তাই বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহের সংকট দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান বলেন, সরকারে নির্ধারিত দামে ভোক্তাদের কাছে ডিম বিক্রি করতে হবে। অতিরিক্ত দামে ডিম বিক্রির বিষয়টি জানা নেই। আমি বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখব। যদি ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দামে ডিম বিক্রি করে তাহলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করা হবে।

Advertisement

এম মাঈন উদ্দিন/আরএইচ/জিকেএস