অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তারা হলেন- মো. মাহবুবুল আলম (৩০), লোকমান হোসেন ওরফে রায়হান (২৫), মো. হাসিবুর রহমান (২৬) ও মো. সুমন আলী (২৬)।
Advertisement
সিআইডি জানায়, গ্রেফতাররা বিভিন্ন জেলা থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের (এমএফএস) এজেন্ট সিম সংগ্রহ করে পেঁয়াজ ব্যবসায়ী পরিচয়ে ঢাকায় বসে অনলাইনে জুয়া খেলে কোটি টাকা পাচার করেছে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) রাতে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে এ তথ্য জানান সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান।
আজাদ রহমান বলেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ওয়ান এক্সবেট নামে বেটিং সাইটসহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি বেটিং সাইটে নিয়মিত নজর রাখছে সাইবার পুলিশ সেন্টার। এসব বেটিং সাইটে দেশের প্রচুর গ্রাহককে নিয়ে বেটিং বা জুয়া খেলা হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের স্বল্প শিক্ষিত মানুষ এবং শিশু-কিশোরদের মধ্যে এ প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। ওয়ান এক্সবেট, মোস্টবেট, বেটউইনার, মেল্টবেট অনলাইন ক্যাসিনো, লুডুসহ বিভিন্ন ফর্মেটে চলছে জুয়া খেলা। এ অনলাইন জুয়া প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নজরদারির ধারাবাহিকতায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Advertisement
গ্রেফতার হাসিবুর রহমান এবং সুমন আলীর গ্রামের বাড়ি মেহেরপুর জেলায়। ওয়ান এক্সবেটের অন্যতম একজন বাংলাদেশি এজেন্ট মেহেরপুরের সাদ্দাম। সাদ্দামের জুয়ার এজেন্টের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য হাসিবুর ও সুমন নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন। তারা মেহেরপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে এমএফএস এজেন্ট সিম সংগ্রহ করে পেঁয়াজ ব্যবসায়ী পরিচয়ে ঢাকায় বসে এ কাজ করে আসছিল। পলাতক সাদ্দামসহ এ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
তিনি আরও বলেন, চক্রটি অনলাইন জুয়া ওয়ান এক্সবেটের মাধ্যমে প্রতিমাসে গড়ে ৩ কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার করেছিল। গ্রেফতার মাহবুবুল আলম তার চাচা আনোয়ার এবং অন্যান্য প্রতিবেশীদের নামে এমএফএস এজেন্ট সিম সংগ্রহ করে অনলাইন জুয়া ওয়ান এক্সবেটের ব্যবসা পরিচালনা করছিল। এ কাজে তাকে সহায়তা করেছিল লোকমান হোসেন। কুমিল্লার মাহবুবুল আলমের চক্রটি অনলাইন জুয়া ওয়ান এক্সবেটের মাধ্যমে প্রতিমাসে গড়ে ৯ কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
টিটি/এমএএইচ/
Advertisement