ক্রিকেট পরিবারে জন্ম হ্যারি ব্রুকের। পরিবারের বেশির ভাগ সদস্য ক্রিকেট ক্লাবের সঙ্গে জড়িত। মূলত স্কুল ক্রিকেট থেকে হ্যারি ব্রুকের উঠে আসা। স্কুল ক্রিকেট কোচ মার্টিন স্পেইট তাকে চিনতে ভুল করেননি। এই কোচের হাতের স্পর্শে স্কুল ক্রিকেট থেকে ব্রুক নিজেকে গড়ে তোলার সুযোগ পান।
Advertisement
১৯৯৯ সালে জন্ম হ্যারি ব্রুকের। ইয়র্কশায়ারের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন তিনি। স্কুল ক্রিকেটের পাশাপাশি যুব ক্রিকেট খেলেছেন ব্রুক। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। সেবার দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন। করেছিলেন অপরাজিত ১০২ রান।
অ্যালিস্টার কুকের পর তিনি ইংলিশ অধিনায়ক, যিনি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। এ ম্যাচের পর আইসিসি তাকে পরবর্তী তারকা ক্রিকেটার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের মধ্যে তিনি হয়েছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
ওয়ানডের আগেই টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচয় ব্রুকের। ২০২২ সালে টেস্টে অভিষেক। ওয়ানডে ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচয় এ বছরই। তবে টেস্ট ক্রিকেটটা বেশ রঙিন ব্রুকের। অনেকটা স্বপ্নের মতোই বলা যায়। ১২ টেস্টে এরই মধ্যে চারটি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। হাফ-সেঞ্চুরির সংখ্যা সাতটি। ব্যাংটিং দক্ষতার প্রমাণের জন্য এ পরিসংখ্যাই যথেষ্ট।
Advertisement
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ এক টেস্ট ইনিংস রয়েছে তারা। ১৮৬ রান করেছিলেন। খেলেছিলেন মাত্র ১৭৪ বল। তার মারকুটে ইনিংসে বাউন্ডারি ছিল দুই ডজন। পাঁচটি ছিল ওভার বাউন্ডারি। জো রুটের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৩০২ রানের জুটি গড়েছিলেন। ইংল্যান্ডকে চরম বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেছিল তাদের এ ইনিংস। ৩ উইকেটে ২১ রান থেকে তারা নিয়ে গিয়েছিলেন ৪৩৫/৮ রানে।
গত বছরের শুরুতেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ডাক পেয়েছিলেন ব্রুক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল তার। ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক এ বছরই। আর এ বছরই বিশ্বকাপ। মূলত জেসন রয় ইনজুরিতে ছিটকে পড়ার কারণেই বিশ্বকাপের দলে জায়গা পান এই ব্যাটার। এবার হয়তো নিজেকে মেলে ধরার বড় একটা মঞ্চ পেয়ে যাচ্ছেন ব্রুক।
যদিও বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে খুব একটা মেলে ধরতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন মাত্র ২৫ এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছিলেন ২০ রানের ইনিংস।
আইএইচএস/
Advertisement