খেলাধুলা

মুস্তাফিজের স্লোয়ার-কার্টারেই বিধ্বস্ত কিউই ব্যাটিং

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল আগেরদিনই জাগো নিউজে লেখা তার কলামে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশকে যদি ভালো কিছু করতে হয়, তাহলে মুস্তাফিজকে জ্বলে উঠতে হবে। কারণ, এখনও তাকে খেলার অভিজ্ঞতা হয়নি নিউজিল্যান্ডের। এই অনভিজ্ঞতার কারণেই কিউই ব্যাটসম্যানদের সামনে আতঙ্ক হয়ে উঠতে পারেন মুস্তাফিজ।’আশরাফুলের কথাটাকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন যেন বাংলাদেশের নতুন পেস সেনসেশন। ইডেন গার্ডেনে নিজের প্রথম ম্যাচটাকে স্মরণীয় করে রাখলেন মুস্তফিজুর রহমান। এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে দুর্বোধ্য দল মনে হচ্ছিল নিউজিল্যান্ডকেই। কিন্তু সেই দলটিকেই কীভাবে নাকানি-চুবানি খাওয়ালেন মুস্তাফিজুর রহমান! উইকেট নিলেন পাঁচটি। যার চারটিই বোল্ড। এ যেন অবিশ্বাস্য এক রূপকথা। নিউজিল্যান্ডের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানরা বুঝতেই পারলো না তার স্লোয়ার আর কার্টার। কেন উইলিয়ামসন, হেনরি নিকোলস, মিচেল সান্তনার আর ব্রেন্ডন ম্যাককালাম- এই চার ব্যাটসম্যানের স্ট্যাম্প উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। শুধুমাত্র গ্র্যান্ট ইলিয়টই ক্যাচ তুলেছিলেন আকাশে। শুভাগত হোম সেটাকে তালুবন্দী করে নেন।ইডেনের উইকেট রান উঠবে। আবার বলও ঘুরবে। এমন সম্ভাবনা থেকেই টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন। হেনরি নিকোলস আর কেন উইলিয়ামসন মিলে ৪ ওভারে ২৫ রান তুলে বড় স্কোরেরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু কিউইদের কাছে একেবারে আনকোরা মুস্তাফিজ প্রথম ওভার থেকেই বিধ্বংসী। প্রতি ওভারেই তুলে নিতে থাকলেন একজন করে ব্যাটমসম্যান। শেষ ওভারে তুললেন দুই উইকেট। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও ছিল; কিন্তু শেষ বলে ছক্কা হওয়ায় আর হ্যাটট্রিকটা হলো না। হ্যাটট্রিকের আক্ষেপ ঘুচেছে মুস্তাফিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার সেরা ৫ উইকেট নিয়ে। ২২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে একাই তিনি বিধ্বস্ত করে ছাড়লেন নিউজিল্যান্ডকে। সে সঙ্গে ইডেন গার্ডেনে নিজের প্রথম ম্যাচটাকেও স্মরণীয় করে রাখলেন তিনি।আইএইচএস/এবিএস

Advertisement