বাংলাদেশ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে তো কী হয়েছে, নিজেদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের তো প্রদর্শনী করাই যায়। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে নিউজিল্যান্ডেকেও তো মুস্তাফিজের স্লোয়ার-কাটারের স্বাদ দেয়া প্রয়োজন। সেই স্বাদটা দিয়েই মূলতঃ শুরু করলেন মুস্তাফিজ। স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিলেন হেনরি নিকোলস আর কেন উইলিয়ামসনের। মোট চার ব্যাটসম্যানের স্ট্যাম্প উড়িয়েছেন তিনি। একজনকে বাধ্য করেছেন ক্যাচ দিতে। টি-টোয়েন্টিতে সেরা পারফরম্যান্স দেখালেন তিনি। মুস্তাফিজের নৈপুন্যেই নিউজিল্যান্ডের মত শক্তিশালি দলকে মাত্র ১৪৫ রানের মধ্যে বেধে রাখতে পারলো বাংলাদেশ। কিউইরা উইকেট হারিয়েছে ৮টি। মাত্র ২২ রান দিয়ে একাই ৫ উইকেট নিলেন মুস্তাফিজ। আল আমিন ২টি এবং মাশরাফি নিলেন ১টি উইকেট।টস জিতে ইডেনের ফ্ল্যাট উইকেটে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়াতে মার্টিন গাপটিলকে বিশ্রাম দিয়ে হেনরি নিকোলসকে সুযোগ দেয় কিউইরা। কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নামেন হেনরি।প্রথম তিনটি ওভার ভালোই বাংলাদেশের বোলারদের মোকাবেলা করছিল নিউজিল্যান্ড। ৩ ওভারে তুলে ফেলেছে তারা ২৩ রান। চতুর্থ ওভারে প্রথমবারেরমত মুস্তাফিজকে আক্রমণে নিয়ে আসেন মাশরাফি। প্রথম ৫ বল থেকে মাত্র ২রান নিতে পেরেছেন কিউইরা। শেষ বলে এসে দুর্দান্ত এক স্লোয়ার কার্টার। পুরোপুরি পরাস্ত হেনরি। ফ্রন্ট ফুটে এসে কভার ড্রাইভ করার চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু বল ফাঁকা পেয়ে গেলো ব্যাট এবং প্যাডের মাঝে। সোজা গিয়ে উপড়ে দিল হেনরির অফ স্ট্যাম্প। অবাক হয়ে তিনি শুধু দেখলেন স্ট্যাম্পের উড়ে যাওয়াটা। ২৫ রানে পড়লো প্রথম উইকেট।উইকেট পাওয়ার পর মুস্তাফিজকে সরিয়ে নেন অধিনায়ক মাশরাফি। চার ওভার বিরতি দিয়ে আবারও তাকে আনা হয় আক্রমণে। নবম ওভারে বল করতে এসে মুস্তাফিজ যেন আরও অপ্রতিরোধ্য। তবুও মাঝে একটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন উইলিয়ামসন। কিন্তু ওভারের শেষ বলেই উইলিয়ামসনের স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিলেন মুস্তাফিজ।বলটা খেলার জন্য আগেই পজিশন নিয়ে রেখেছিলেন উইলিয়ামসন। অফ স্ট্রাম্পেরও সামনে এগিয়ে এলেন। লক্ষ্য, স্কয়ার ড্রাইভ করবেন। কিন্তু এর আগে তো আর মুস্তাফিজকে তারা খেলেনি। সুতরাং, বুঝে ওঠার আগেই উইলিয়ামসন দেখলেন মিডল স্ট্যাম্প নেই, উড়ে গেছে। ৩২ বলে ৪২ রান করে ফিরে গেলেন কিউই অধিনায়ক। ৫৭ রানে পড়লো দ্বিতীয় উইকেট।আইএইচএস/এবিএস
Advertisement