সুগন্ধি ব্যবহার মূলত উত্তম কাজ। এটি সুন্নাতও বটে। রাসুল (সা.) সুগন্ধি অত্যন্ত পছন্দ করতেন এবং সব সময় সুগন্ধি ব্যবহার। অন্যদেরও সুগন্ধি ব্যবহার করার নির্দেশ দিতেন। জুমার দিন সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়ে রাসুল (সা.) বলেছেন,
Advertisement
إِنَّ هَذَا يَوْمُ عِيدٍ جَعَلَهُ اللَّهُ لِلْمُسْلِمِينَ فَمَنْ جَاءَ إِلَى الْجُمُعَةِ فَلْيَغْتَسِلْ وَإِنْ كَانَ طِيبٌ فَلْيَمَسَّ مِنْهُ وَعَلَيْكُمْ بِالسِّوَاكِনিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা: ৮৩)
কোনো পারফিউমে হারাম বা অপবিত্র এলকোহল মিশ্রিত না থাকলে তা ব্যবহার করে নামায আদায় করতে কোন সমস্যা নেই।
বর্তমানে বাজারে প্রচলিত এলকোহল নাপাক কি না এ সম্পর্কে বিশিষ্ট ফকিহ শাইখুল ইসলাম তাকী উসমানি (দা. বা.) লিখেছেন, যে এলকোহল এখন বিভিন্ন ঔষধ বা পারফিউমে ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তার অধিকাংশই এখন আর আঙ্গুর বা খেজুর থেকে তৈরি হচ্ছে না। বরং বিভিন্ন ধরনের শস্যদানা,খোসা,এবং খনিজ পদার্থ ইত্যাদি থেকেই তৈরি করা হচ্ছে। (তাকমিলাতু ফাতহুল মুলহিম ৩/৬০৮)
Advertisement
তাই বাজারে প্রচলিত বেশিরভাগ এলকোহল অপবিত্র নয় এবং এলকোহল মিশ্রিত যে কোনো পারফিউমও অপবিত্র নয়। কোনো পারফিউমের ব্যাপারে যদি জানা থাকে যে, ওই পারফিউমে শরিয়তে অপবিত্র ঘোষিত আঙ্গুর বা খেজুর থেকে তৈরি এলকোহল মিশ্রিত রয়েছে, তাহলে তা ব্যবহার করে নামাজ আদায় নিষিদ্ধ হবে। সাধারণতভাবে এলকোহল মিশ্রিত পারফিউমও এখন পবিত্র এবং অপবিত্র হওয়ার প্রমাণ না পাওয়া গেলে সেগুলো অপবিত্র গণ্য হবে না এবং সেগুলো ব্যবহার করে নামাজ আদায় নিষিদ্ধ হবে না।
ওএফএফ/এএসএম