বগুড়ার শেরপুরে হতদরিদ্রদের ভাতার কার্ড ও জীবন বিমা করে দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
Advertisement
এ নিয়ে মঙ্গলবার (১০অক্টোবর) ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্যরা হলেন- উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) নজরুল ইসলাম ফকির ও এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. বাবু মিয়া।
অভিযোগে জানা যায়, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, গর্ভবতী ভাতা, ভিজিএফ ও ভিজিডি কার্ড করে দেওয়ার নামে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ফকির ও বাবু মিয়া যৌথভাবে এক লাখ ৫২ হাজার টাকা নেন। আর নজরুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন বিমা করে দেওয়ার নামে নেন ৪০ হাজার টাকা। স্থানীয় খামারকান্দি এলাকার অর্ধশতাধিক হতদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে ফারুক সাকিদার নামে এক ব্যক্তি ওইসব টাকা তুলে তাদের দেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন পার হলেও কোনো ভাতার কার্ড পাননি তারা। তাই ভুক্তভোগীদের পক্ষে ফারুক সাকিদার দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
Advertisement
অভিযোগকারী ফারুক সাকিদার বলেন, বিভিন্ন ভাতার কার্ড করে দেওয়া হবে-মর্মে জানিয়ে আমাকে এলাকার হতদরিদ্রদের নিকট থেকে দুই হাজার থেকে তিন হাজার করে টাকা তুলতে বলেন। ওই দুই সদস্যের কথা অনুযায়ী টাকা উত্তোলন করে তাদের দেই। কিন্তু বেশ কিছুদিন সময় পার হলেও কার্ডের কোনো হদিস নেই। এমনকি কার্ডের কথা বললে বিভিন্ন রকম টালবাহানা করছেন তারা। এছাড়া একই কায়দায় ইউপি সদস্যের ছেলে নাজমুল দ্বিগুণ লাভ ও সব মানুষের বিমা করা বাধ্যতামূলক ঘোষণা দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ফকির বলেন, আমি কোনো টাকা নেইনি। আমাদের নামে কে বা কারা টাকা তুলেছে তাও জানি না। এছাড়া আমার ছেলে এনজিওতে চাকরি করে। তার সঙ্গে কোনো লেনদেন থাকলেও থাকতে পারে। তবে সে বিষয়ে আমার জানা নেই।
খামারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন মহসিন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে অচিরেই উভয়পক্ষকেই পরিষদে ডাকা হবে। সেখানেই বিষয়টি সমাধান হবে।
এসজে/এএসএম
Advertisement