মোংলায় হঠাৎ করে তৈরি হয়েছে ঘন কুয়াশা। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ভোর থেকেই কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে মোংলাসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকা। ভোর থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। যানবাহন চলতে দেখা গেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
Advertisement
আজ ২৬ আশ্বিন। শরৎ ঋতু শেষ হতে আর মাত্র চারদিন বাকি। এরপর শুরু হবে হেমন্তকাল। তবে এসময়ও যেন বষাকাল চলছে। প্রায় প্রতিদিনই হচ্ছে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি। এরই মধ্যেই শীতের বার্তা এলো মোংলায়।
পৌর শহরের বান্দাঘাটা এলাকার বাসিন্দা মো. জহির বলেন, ‘দেশের ষড়ঋতু এখন আর ঠিক নেই, কেমন যেন বৈচিত্র্যময় হয়ে গেছে। কারণ গরমের মধ্যে শীত, শীতের মধ্যে বৃষ্টি, বৃষ্টির মৌসুমে কুয়াশা পড়ছে।’
শেলাবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, ‘এখন বৃষ্টি হচ্ছে অথচ সোমবার রাত ও মঙ্গলবার ভোরে প্রচণ্ড কুয়াশা পড়েছে। মনে হচ্ছে যেন শীতকাল এখন। ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব।’
Advertisement
শহরতলির মালগাজীর বাসিন্দা জামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘ভোরের কুয়াশায় রাস্তায় চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তবে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে নদী পার হতে গিয়ে।’
অসময়ে কুয়াশার কারণে মাঠের ধানে কারেন্ট পোকার আক্রমণ ঘটতে পারে আশঙ্কা করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, নরম সবজি হিসেবে আলু, পুঁইশাক ও টমেটোতে পচন ধরা রোগ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পরিবেশবিদ লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, মূলত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণেই ষড়ঋতুর বৈচিত্র্যময় পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে মানুষের জীবন, পরিবেশ ও প্রকৃতিতে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন বলেন, রাত ও ভোরের কুয়াশায় ঠান্ডা আবহাওয়া এবং দিনের বেলার গরমের ঘাম বসে শিশু-বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের ফুসফুস আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্ট বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
Advertisement
আবু হোসাইন সুমন/এসআর/জিকেএস