জাতীয়

উপেক্ষিত জনদুর্ভোগ, মনোনয়নে মনোযোগ নেতাদের

# বৃষ্টিতে এলাকার ৮০ শতাংশ থাকে পানির নিচে# বিলবোর্ড ব্যানার-ফেস্টুনে চলছে প্রচারণা# সাংগঠনিক অবস্থা সন্তোষজনক, বিভক্তি প্রার্থীদের নিয়ে

Advertisement

ঢাকা-১৮। জাতীয় সংসদের ১৯১ নম্বর আসন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১, ১৭, ৪৩, ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ সংসদীয় আসনটি। এসব ওয়ার্ডের বেশিরভাগই নবগঠিত। যেখানে রাস্তাঘাট ভাঙা, নেই যথাযথ ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, সামান্য বৃষ্টিতেই পাড়া-মহল্লার অলিগলি তলিয়ে যায়। সঙ্গে মশার উপদ্রব, মাদকের ছড়াছড়ি আর কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত তো রয়েছেই।

সরেজমিনে ঢাকা-১৮ আসনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এবং সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এসব সমস্যার তথ্য যেমন পাওয়া গেছে, তেমনই সড়কদ্বীপে, গাছের ডালে কিংবা বিলবোর্ডে রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রচার-প্রচারণার চিত্রও চোখে পড়েছে। বলা চলে- নিচে সমস্যা, ওপরে নেতাদের প্রচারণা। এসব নিয়ে এলাকাবাসী ও পথচারীদের সঙ্গে কথা হলে তারা ক্ষোভ ঝাড়েন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং নেতৃস্থানীয়রাও এসব সমস্যার কথা স্বীকার করছেন। জানিয়েছেন নিজেদের অসহায়ত্ব।

আরও পড়ুন: ঢাকা-১৮ আসনে হাবিব হাসান

Advertisement

বৃষ্টিতে এলাকার ৮০ শতাংশ থাকে পানির নিচেস্থানীয়দের অভিযোগ, ঢাকা-১৮ আসনের আওতাধীন এলাকার রাস্তাঘাট বেহাল, নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, অল্প বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। কিছু রাস্তায় বছরজুড়ে পানি জমে থাকে। মশার উপদ্রবও থাকে সারাবছর। এ এলাকাটি ডেঙ্গুর চলমান প্রাদুর্ভাবেও ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এছাড়াও মাদক কারবার ও কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এতে মারামারি ও খুনখারাবির ঘটনাও ঘটে হরহামেশা। আর উত্তরা এলাকায় চলে ফুটপাত বাণিজ্য।

জনপ্রতিনিধিরা জনসেবামূলক কাজ ঠিকমত করেন কি না, এমপির বরাদ্দ পান কি না? এসব প্রশ্নে জবাবে বেশিরভাগ লোক জাগো নিউজকে জানান, এমপির বরাদ্দ কী, কোথায় পাওয়া যায়, তারা তা জানেন না। এমপির কাজ কী তারা সেটাও জানেন না। তবে, সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে কাউন্সিলররা কিছু কাজ করেন বলে জানান ভুক্তভোগী নাগরিকরা।

ওই এলাকায় নানামাত্রিক অব্যবস্থাপনা ও জনভোগান্তির বিষয়টি স্বীকার করেছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এস এম তোফাজ্জল হোসেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমান দক্ষিণখান, উত্তরখান ও হরিরামপুরের যে অবস্থা; নতুনভাবে সিটি করপোরেশনভুক্ত হয়েছি আমরা। করপোরেশন থেকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কাজও শুরু হয়েছে মাত্র। কিন্তু অধিকাংশ কাজ অর্ধেক হয়ে আটকে আছে। এসব কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকার প্রত্যেকটি মানুষ মনে মনে বিরক্ত। কারণ, তারা সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

তিনি বলেন, এলাকায় গ্যাস লাইনের কারণে জটিলতা তৈরি হয়ে কাজ বন্ধ আছে। এ বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এর মীমাংসা আরও সময়ের ব্যাপার। তবে শিগগির এসব সমস্যার সমাধান হলে নাগরিকদের জন্য উপকার হতো। তখন আত্মবিশ্বাস নিয়ে এলাকার মানুষের কাছে ভোট চাইতে পারতাম। ভোটকেন্দ্রে আসতে ভোটারদের উৎসাহিত করতে পারতাম।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘অগ্নিপরীক্ষা’র মধ্যেই সংঘাতে জড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের তৃণমূল! 

এ বিষয়ে ৫২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, এমপির পক্ষ থেকে সরকারি বরাদ্দের সবই পাই। কিন্তু সমস্যা ড্রেনেজ ব্যবস্থার। আমার ওয়ার্ডের চতুর্দিকে রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) এরিয়া, তারা মাটি ভরাট করে উঁচু করে ফেলেছে। এখন আমার ওয়ার্ড নিচে পড়ে গেছে। যে কারণে সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে জনদুর্ভোগ তৈরি হয়। এ নিয়ে খুব বেকায়দায় আছি। তবে তিনটি কাজ চলমান আছে, এগুলো হয়ে গেলে আর সমস্যা থাকবে না। এছাড়া ডেঙ্গু মোকাবিলায় নিয়মিত মশার ওষুধ দিচ্ছি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও চলছে। মাদক কারবার ও কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত আছে। আমরা এ নিয়ে পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে বসেছি। স্পষ্ট বলেছি, মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে কাউকে কোনো ছাড় নেই।

নাগরিক সুবিধার বালাই নেই, নেতারা ব্যস্ত নির্বাচনী প্রচারণায়

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন জাগো নিউজকে বলেন, এমপির পক্ষ থেকে সরকারি অনুদানগুলো সঠিকভাবে বণ্টন হয়। আমার এলাকায় ড্রেনেজ সিস্টেমের কিছু কাজ চলছে। তবে নতুন ওয়ার্ড হওয়ায় রাস্তাঘাট বেশ খারাপ। মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। মাদকের ছোবলটা কম। কিন্তু কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত আছে। থানা পুলিশ এ বিষয়ে সতর্ক।

৪৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী আকবর জাগো নিউজকে বলেন, আমি তো বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর। এমপির বরাদ্দ পাই না। সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ অন্যরা যা পায়, আমিও তা-ই পাই। আমাদের এখানে ড্রেনেজ সিস্টেম নেই। বৃষ্টি হলে ৮০ শতাংশ এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। রাস্তাঘাটের বাজে অবস্থা। তবে মশার ওষুধ নিয়মিত দিচ্ছি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কাজ হচ্ছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা থাকলে এসব করেও কোনো লাভ হয় না।

আরও পড়ুন: এবার দুঃখ ঘুচবে সাবেক ছাত্রনেতাদের! 

বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুনে চলছে প্রচারণাদ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় ওই এলাকায় প্রার্থীদের সরগরম প্রচার-প্রচারণার চিত্র চোখে পড়েছে। গাছের ডালে, বিলবোর্ড-ব্যানারে নেতাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। সমস্যায় জর্জরিত এ আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান ছাড়াও আরও অন্তত চারজনের প্রচারণা বিশেষভাবে নজরে এসেছে। তারা হলেন- ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক এস এম তোফাজ্জল হোসেন, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক আলহাজ্ব মো. খসরু চৌধুরী, মহানগরের সাবেক সদস্য ও ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খান এবং মহানগরের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন। তবে এর বাইরে আরও অনেক প্রার্থী আছেন এ আসনে। আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হলে ২০২০ সালের নভেম্বরে যে উপনির্বাচন হয়েছিল তাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন ৫৬ জন। সেখানে নৌকা প্রতীক নিয়ে হাবিব হাসান বিজয়ী হন।

এস এম তোফাজ্জল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এ অঞ্চলে আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। এখানকার সমাজ ও মানুষের সঙ্গে কাজ করেছি দীর্ঘদিন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করেছি ছয়টি। মসজিদ-মাদরাসা করেছি। রাস্তাঘাট করেছি। আমরা জানি, কীভাবে মানুষের কল্যাণ করতে হয়। আমি এবং আমার বড় ভাই এস এম মোজাম্মেল হক মিলে এই এলাকায় ৩৬ বছর চেয়ারম্যান ছিলাম। মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও প্রয়োজন আমরা অনুভব করতে পারি। এখানে আত্মীয়-স্বজন, পাড়াপড়শি, রাজনৈতিক কর্মী ও পরিচিতজন মিলে আমাদেরই ভোট বেশি। মনোনয়ন পেলে আমরা নির্বাচিত হয়ে আসতে পারবো, ইনশাআল্লাহ্।

জলাবদ্ধতা, মশা, মাদক আর কিশোর গ্যাংয়ে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

আসনটিতে আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক খসরু চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল থেকে স্মার্ট হওয়ার পথে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে ভিশন, সেটি বাস্তবায়নে আমি নিজেকে যোগ্য মনে করি। আমার এলাকার জনগণও মনে করে, আমি এমপি হয়ে এলে এলাকার উন্নয়ন হবে। ঢাকা-১৮ হবে স্মার্ট। এলাকার মানুষের চাওয়ায় আমি সম্মতি দিয়েছি। আমাদের নেত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন, আমি নির্বাচন করবো। অন্যথায় যাকে দেবে তার পক্ষে কাজ করবো।

আরও পড়ুন: এমপিদের ‘আমলনামা’ দেখেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন 

সাংগঠনিক অবস্থা সন্তোষজনক, বিভক্তি প্রার্থীদের নিয়েবিমানবন্দর, খিলক্ষেত, উত্তরখান, দক্ষিণখান ও তুরাগ সাংগঠনিক থানার সমন্বয়ে গঠিত ঢাকা-১৮ আসন। এখানে দলগতভাবে আওয়ামী লীগের অবস্থা ভালো। জাতীয় নির্বাচন ঘিরে কয়েকজন প্রার্থী মাঠে থাকায় তাদের পক্ষে-বিপক্ষে নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছু দ্বিধাবিভক্তি তৈরি হয়েছে। এছাড়া বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধি এবং নেতাকর্মী বর্তমান এমপির নেতৃত্বে সংগঠিত।

সাড়ে পাঁচ লাখ ভোটারের এ সংসদীয় এলাকায় অন্তত ২০ লাখ লোকের বাস। যার অধিকাংশই শ্রমজীবী। গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প ও কলকারখানায় ঘেরা এ এলাকায় নিম্নআয়ের ও স্বল্পশিক্ষিত মানুষের সংখ্যাই বেশি। পরিসংখ্যা বলে- ভোটের হারেও এখানে আওয়ামী লীগ এগিয়ে। দলটির সভাপতিমণ্ডলীর প্রয়াত সদস্য ও রাজনীতিতে সততার দৃষ্টান্ত সাহারা খাতুন এ আসনে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর উপনির্বাচনে আসেন বর্তমান এমপি ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসান। উত্তরা সেক্টরগুলো ছাড়া পুরো এলাকায় আওয়ামী লীগের সমর্থন বেশি বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।

এ বিষয়ে উত্তরখান থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন জাগো নিউজকে বলেন, সুদিন এলে কিছু হাইব্রিড ও বিত্তশালী লাফালাফি করে। আমাদের এখানেও কিছু নতুন লোক লাফালাফি করছে। কিছু লোভী লোকজনও তাদের পেছনে দৌড়াচ্ছে। এতে আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সাময়িক কিছু বিভক্তি তৈরি হচ্ছে। দ্বিধাবিভক্তি বা মতবিরোধও দেখা দিচ্ছে। এর বাইরে সাংগঠনিক অবস্থা যথেষ্ট ভালো। আমাদের এ এলাকায় যারা দীর্ঘদিন রাজনীতি করেন, তাদের মধ্যে বর্তমান এমপি হাবিব হাসান জনপ্রিয়তায় সবার শীর্ষে রয়েছেন। বিত্তশালী, আগে থেকেই রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ছাড়াও সব শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে তার সংযোগ আছে। আমাদের সঙ্গেও তার নিয়মিত যোগাযোগ আছে। তবে দলের প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন, আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো।

তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ বলেন, সাংগঠনিক অবস্থা ভালো। ঢাকা-১৮ আসনে আমরা ১৪ জন কাউন্সিলর আছি। ১৩ জনই এমপি হাবিব হাসানের পক্ষে। আমাদের এলাকায় উত্তরা সেক্টরগুলোতে আমরা ভোট কম পাই। সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ ভোট পড়ে সেক্টরগুলোতে। তবে তুরাগ, উত্তরখান, দক্ষিণখান ও ডুমনি এলাকা আমাদের জয়ের জন্য যথেষ্ট। সেখানে আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ ভোট পায় না। দুবার বাদে বাকি সবসময় আওয়ামী লীগই জয়ী হয়েছে।

আরও পড়ুন: সড়ক নাকি খাল, নেই বোঝা উপায়

ঢাকা-১৮ আসনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগ শিবিরে দুটি কথা বেশ আলোচিত। প্রথমত, উপনির্বাচনে এমপি হওয়া হাবিব হাসান এরই মধ্যে এলাকা ও নেতাকর্মীদের গুছিয়ে ফেলেছেন। তিনি সবার কাছে সজ্জন ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। ফলে এ আসনে তার হাতেই নৌকার হাল তুলে দিতে পারে দল।

দ্বিতীয়ত, ঢাকার অন্যতম প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত এ আসনে নির্বাচনকালীন বিরোধীদের জনবিরোধী যে কোনো আন্দোলন মোকাবিলায় দল সাহারা খাতুনের মতো রাজপথের তুখোড় ও সাহসী কোনো নেতৃত্ব খুঁজে নিতে পারে। এমনটি হলে বর্তমান এমপি হাবিব হাসানকে সান্ত্বনাসূচক পদোন্নতি দিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হতে পারে।

এসইউজে/এমকেআর/জিকেএস