হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং গাজায় ক্রমবর্ধমান হামলার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃস্থানীয় আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে ফ্লাইট স্থগিত করেছে বা কমিয়ে দিয়েছে। বিমানবন্দরের নির্ধারিত সব ফ্লাইটের প্রায় অর্ধেকই রোববার স্থগিত ছিল এবং সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় এক তৃতীয়াংশ ফ্লাইটই বাতিল করা হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
আমেরিকান এয়ারলাইন্স, এয়ার কানাডা, এয়ার ফ্রান্স, ডেল্টা এয়ার লাইনস, ইজিপ্ট এয়ার, এমিরেটস, ফিনল্যান্ডের ফিনায়ার, ডাচ ক্যারিয়ার কেএলএম, জার্মানির লুফথানসা, নরওয়েজিয়ান এয়ার, পর্তুগালের টিএপি, পোলিশ ক্যারিয়ার এলওটি, রায়ানএয়ার এবং ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ফ্লাইট স্থগিত করেছে বা ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের ১৯ নাগরিক নিহত
অপরদিকে ইসরায়েলে রাতের ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া। মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এভিয়েশন সেফটি এজেন্সি এবং ইসরায়েলের এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে ইসরায়েলের আকাশসীমায় সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করেছে। কিন্তু বিভিন্ন এয়ারলাইন্স তা না করে ফ্লাইট স্থগিত বা বন্ধ করে দিয়েছে।
Advertisement
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ জানিয়েছে যে, তারা আগামী দিনগুলোতে সামঞ্জস্যপূর্ণ সময়ে ইসরায়েলে ফ্লাইট চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।
ভার্জিন আটলান্টিক জানিয়েছে, তারা কিছু ফ্লাইট চালিয়ে যাবে। তবে গ্রাহকরা পুনরায় টিকিট বুক করা বা ফেরতের জন্য অনুরোধ জানাতে পারবেন।
রোববার এবং সোমবার তেল আবিবে ফ্লাইট বন্ধ করেছে যুক্তরাজ্যের ইজিজেট। এছাড়া হাঙ্গেরিয়ান বাজেট ক্যারিয়ার উইজ এয়ার পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত তেল আবিবের সঙ্গে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করেছে। এজিয়ান, সুইস এবং অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইন্সের মতো অন্যান্য এয়ারলাইন্সও ফ্লাইট স্থগিত করেছে। চীন, হংকং এবং দক্ষিণ কোরিয়ার এয়ারলাইন্সগুলোও তেল আবিবে ফ্লাইট বাতিল করেছে।
গত শনিবার (৭ অক্টোবর) কয়েক হাজার রকেট লঞ্চারসহ ভারী অস্ত্র নিয়ে ইসরায়েলের মাটিতে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। জবাবে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলও। এখন পর্যন্ত দুপক্ষের সংঘাত চলছেই।
Advertisement
আরও পড়ুন: এবার ইসরায়েলে ঢুকতে শুরু করেছে হিজবুল্লাহ
এদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলি নিহতের সংখ্যা ৮০০ ছুঁয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেল পর্যন্ত ২,৫০৬ জন আহতকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ২৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ও ৩৫৩ জনের আঘাত বা জখম গুরুতর।
অন্যদিকে, হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬০ এ দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া ইসরায়েলিদের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত ২৯০০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
টিটিএন