চিঠিপত্রের যুগ শেষ হওয়ায় দুর্দশাগ্রস্ত ডাকসেবাকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘বড় চ্যালেঞ্জটা ছিল দুর্দশাগ্রস্ত ডাক সার্ভিসকে ভালো অবস্থানে তুলে আনা। চিঠিপত্রের যুগ তো এখন শেষ। এ খাতে চরম দুর্দশা নেমেছিল। কিন্তু আমরা অনেকটা ভালো অবস্থানে নিয়ে এসেছি। ডাকঘরকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে গড়ে তুলতে কাজ করছি। পুরো ডাকব্যবস্থা ডিজিটাইজড করা হবে।’
সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে ‘বিশ্ব ডাক দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও চিঠি লেখার প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকায় জিপিও মিলনায়তনে ডাক অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা মেইলিং ব্যবস্থা উন্নয়ন করেছি। এর মাধ্যমে এরই মধ্যে হিমায়িত খাবার থেকে শুরু করে রান্না করা খাবারও পৌঁছে দেওয়ার মতো দুরূহ কাজ শুরু করেছে ডাকঘর। ডিজিটাল কমার্সের জন্য ডাকঘর নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ডাকঘরকে নির্ভরযোগ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘মহামারি করোনাভাইরাসের সময়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কৃষকের ফল, সবজি পরিবহন থেকে শুরু করে চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে কাজ করেছে ডাক বিভাগ। দুঃসময়ে ডাকঘরের এ অবদান অস্বীকার করা যাবে না।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাবের (ডিএসডিএল) প্রস্তাবের আলোকে স্মার্ট ডাকঘর প্রতিষ্ঠা করা হবে। এজন্য পরিচালিত সমীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। এটা করা হলে ডাকসেবায় ডাকঘরের সমকক্ষ কোনো প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া দুরূহ হবে।’
পরে মোস্তাফা জব্বার ‘বিশ্ব ডাক দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত পত্রলিখন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন- ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিনাত আরা প্রমুখ।
Advertisement
বিশ্ব ডাক দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘আস্থার জন্য ঐক্য: একটি নিরাপদ ও সংযুক্ত ভবিষ্যতের জন্য সহযোগিতা’।
১৮৭৪ সালের ৯ অক্টোবর সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে ২২ দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গঠিত হয় ‘ইউনির্ভাসেল পোস্টাল ইউনিয়ন’। পরে এ সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতিসংঘে উত্থাপিত একটি প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে ১৯৬৯ সালের ৯ অক্টোবরকে বিশ্ব ডাক দিবস ঘোষণা করা হয়।
এএএইচ/কেএসআর