রাজনীতি

দানব সরকারের কাছে খালেদার মুক্তি আশা করা যায় না: আব্বাস

বর্তমান সরকারকে ‘দানব’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এ সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি আশা করা যায় না। একজন মৃত্যু পথযাত্রী মানুষকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য প্রমাণ করে সরকার কতটা অসভ্য।

Advertisement

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াই এদেশে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ তো বাকশালের পেটে ঢুকে গিয়েছিল। খালেদা জিয়া দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন।

সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজ সংবিধানের দোহাই দিচ্ছেন। কোন সংবিধানের দোহাই দিয়ে আপনারা ক্ষমতায় এসেছিলেন? তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বললেন- খালেদাকে আমি ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের করেছি। তাহলে কোর্টের দোহাই দিলেন কেন? মূলত, সেদিন থেকেই দেশনেত্রীকে হত্যার ছক তৈরি করা হয়েছিল।

Advertisement

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কিছু হলে জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না: ফখরুল

সমাবেশে দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা হাজারবার বলেছি। কিন্তু অবৈধ সরকার শুনছে না। আজ ১৫ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন। বিচার বিভাগকে কাজে লাগিয়ে আবারও একদলীয় নির্বাচন করতে চায়। যদি তা-ই হয় তাহলে আমাদের কারও ঠিকানা জেলখানা অথবা ইলিয়াস আলীর মতো অবস্থা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) কাউকে চিকিৎসা করতে দেবেন না। আপনার চিকিৎসাও বাংলাদেশে হবে না। খালেদা জিয়ার কিছু হলে আপনার মৃত্যু হলেও মরণোত্তর বিচার হবে।

গয়েশ্বর বলেন, আপনার (প্রধানমন্ত্রী) পতন ছাড়া কেউ মাঠ ছাড়বে না। সভা-সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের পতন হবে না। কঠিন কর্মসূচির প্রস্তুতি নিতে হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: খালেদার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ১৪ অক্টোবর বিএনপির গণঅনশন

সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, খালেদা জিয়া সম্মুখ দরজা দিয়ে রাজনীতিতে নেমে জনগণের নেত্রী হয়েছেন। এটি সরকার সহ্য করতে পারেনি। তাই তাকে অন্তরীণ করে রেখেছে। শুধু তাই নয়, বিনা চিকিৎসায় হত্যার চেষ্টা করছে। আজ যারা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছে সরকার তাদের সহ্য করতে পারে না।

স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ করে যে দেশ স্বাধীন করেছি সে দেশে আইনমন্ত্রী বেআইনি কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী অনর্থের মূল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলেন মনে হয় উনি অন্য দেশের মন্ত্রী। বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেই ব্যবসায়ীর ভাষায় কথা বলেন। যে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছি, দেশে আজ সেই গণতন্ত্র নেই।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচনে অযোগ্য করার জন্য বিরোধী নেতাদের কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। সরকার এসব করে আবারও ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়।

কেএইচ/এমকেআর/এএসএম