গাজার ওপর ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপ করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্ট জানিয়েছেন, গাজার বিদ্যুৎসংযোগ কেটে দেওয়ার পাশাপাশি সেখানে খাদ্য ও জ্বালানি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
Advertisement
২০০৭ সাল থেকেই বায়ু, স্থল ও সমুদ্র তিন দিক থেকেই অবরোধের অধীনে রয়েছে গাজা। হামাসের হামলার পর থেকে গাজার ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা পানি, বিদ্যুৎ সংকটের পাশাপাশি ওষুধের অভাব ও অস্ত্রোপচারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হামলা মোকাবিলায় তিন লাখ রিজার্ভ সেনা ডেকেছে ইসরায়েল। সোমবার (৯ অক্টোবর) ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র হাগারি এ ঘোষণা দেন। এর আগে এক লাখ রিজার্ভ সেনা ডাকার কথা জানা গিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় তা তিন লাখে উন্নীত করা হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি সাংবাদিকদের বলেছেন, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ইসরায়েলের। তিনি বলেন, সোমবার সকালে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এই পর্যায়ে সেখানকার সম্প্রদায়ের মাঝে কোনও ধরনের সংঘাত হচ্ছে না। তবে এখনও ওই অঞ্চলে হামাসের যোদ্ধারা থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
Advertisement
এদিকে, এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে ২২০০ এরও বেশি ইসরায়েলি। অন্যদিকে, এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে, আহত হয়েছে দুই হাজার ৭৫০ জন।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরে ইসরায়েল লক্ষ্য করে একসঙ্গে ৫ হাজারেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হামাস। সেই সঙ্গে ইহুদী রাষ্ট্রটির ভেতরে ঢুকে হামলা শুরু করে। এতদিন ইসরায়েলের বিপক্ষে শুধুমাত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েছে হামাস। শনিবারই প্রথমবারের মতো আগে ইসরায়েলে হামলা চালালো সংগঠনটি।
সূত্র: রয়টার্স, আল জাজিরা
এসএএইচ
Advertisement