বিনোদন

শাহরুখকে হত্যার হুমকি

বলিউড কিং খান শাহরুখকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ‘পাঠান’ ও ‘জওয়ান’ সিনেমার ব্যাপক সাফল্যের পর প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন শাহরুখ খান। ভারতের মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে তার জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাদশাকে এখন থেকে ‘ওয়াই প্লাস’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এর খবরে এমনটাই জানা গেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘জওয়ান’ ১ মাসে ১১০০ কোটির ক্লাব পার করেছে

২০২৩ সালে পর পর দুটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে বলিউড বাদশার। ‘পাঠান’ও ‘জওয়ান’ সিনেমা দুটি বিশ্বজুড়ে বক্স অফিসে হাজার কোটি রুপির ক্লাবে স্থান পেয়েছে। সেই সাফল্যই কি শাহরুখের প্রাণনাশের কারণ হয়ে দাঁড়াল-এমন প্রশ্ন শাহরুখ ভক্তদের।

জানা গেছে, ‘পাঠান’ সিনেমার প্রচারের সময় থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছিলেন শাহরুখ। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে ভয় দেখানো হয়েছে বলেও আলোচনা হয়েছিল।

Advertisement

আরও পড়ুন: এবার সালমানের সিনেমার গায়িকাকে হত্যার হুমকি

তাই এখন জীবন রক্ষার কারণে ‘ওয়াই প্লাস’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্যে থাকবেন শাহরুখ খান। এত দিন পর্যন্ত সুরক্ষার জন্য অভিনেতার সঙ্গে সব সময় দুজন পুলিশ কনস্টেবল থাকতেন।

‘ওয়াই প্লাস’ ক্যাটাগরি পাওয়ার ফলে সেই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও জোর দেওয়া হয়েছে। এই ক্যাটাগরির নিরাপত্তার ভিত্তিতে শাহরুখের সঙ্গে তার নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে সব সময় ছয়জন সশস্ত্র পুলিশ কমান্ডো উপস্থিত থাকবেন। এই ছয়জনকে মহারাষ্ট্র পুলিশের ‘স্পেশ্যাল প্রোটেকশন ইউনিট’ থেকে নির্বাচন করা হবে। ছয়জন কমান্ডোসহ মোট ১১ জন নিরাপত্তারক্ষী থাকবেন শাহরুখের সঙ্গে। যাতায়াতের একটি বিশেষ গাড়িও দেওয়া হবে।

এদিকে শাহরুখের বাংলো ‘মান্নাত’-এর সামনে নিরাপত্তার জন্য ২৪ ঘণ্টা ৪ জন পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করা হবে। তাদের সঙ্গে একে-৪৭ রাইফেল, গ্লক পিস্তল এবং এম-পি ৫ মেশিন গান থাকবে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

শাহরুখের পাশাপাশি সালমান খানকেও ‘ওয়াই প্লাস’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়। তা ছাড়া অমিতাভ বচ্চন, আমির খান, অক্ষয় কুমার এবং অনুপম খেরের মতো তারকা ‘এক্স’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে থাকেন। এই ক্যাটেগরি অনুযায়ী অভিনেতাদের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা তিন জন নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। শাহরুখকে হত্যার হুমকির সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর তার ভক্তরা বেশ চিন্তিত।

এমএমএফ/জিকেএস