জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পর্কটা এখনো অতটা গাঢ় হয়ে ওঠেনি ডানহাতি পেসার হাসান মাহমুদের। তবে গত একটি বছর যখনই সুযোগ পেয়েছেন, তখনই বেশ ধারাবাহিকতার পরিচয় দিয়েছেন। যে কারণে এবার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকার অনুভূতি পেয়ে গেলেন।
Advertisement
দীর্ঘদিন স্পিন বোলিংয়ের ওপর নির্ভর করে থাকা বাংলাদেশ একজন তরুণ পেসার পেয়েছে, যার ওপর পেস বোলিংয়ে নির্ভর করা যায়।
বয়সটা এখনো খুব বেশি হয়নি। সবেমাত্র ২৩। ২০২০ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। এক বছরের কম সময়ের ব্যবধানে ওয়ানডে ক্রিকেটে গতির ঝড় তোলার সুযোগ পেয়ে যান।
২০২১ সালে জাতীয় দলে ডাক পেয়ে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দেন। বুঝিয়ে দেন সঠিক লেন্থ, লাইন বজায় রেখে দ্রুত গতির বল করার সামর্থ্য তার রয়েছে।
Advertisement
২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে জেমকনকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে যথেষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন এই পেসার। শিকার করেছিলেন ১১ উইকেট, যা তার জাতীয় দলে ঢোকার পথ করে দিয়েছিল।
দলে তিন অভিজ্ঞ বোলারের ভিড়ে বিশ্বকাপের শুরুতে হাসান মাহমুদের সুযোগ পাওয়া কঠিন হতে পারে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাইডলাইনেই বসে থাকতে হয়েছে ২০২১ সালের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৩ উইকেট পাওয়া হাসান মাহমুদের ক্যারিয়ার মাত্র ১৮ ম্যাচের।
এরই মধ্যে একবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাওয়ার স্বাদ পেয়েছেন। এ বছরের শুরুতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট পাওয়া এ পেসার এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও দারুণ বোলিং করেছেন। এরই মধ্যে জাতীয় দলের হয়ে বেশ কয়েকটা দেশ সফর করেছেন হাসান মাহমুদ। নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা সফরে গেলেও ভারত সফর এবারই প্রথম।
ম্যাচ
Advertisement
ইনিংস
রান
উইকেট
সেরা
৪/৫ উইকেট
১৮
১৭
৭৪৬
২৫
৫/৩২
০/১
আইএইচএস/