ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হচ্ছেন দুবারের সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা। রোববার (৮ অক্টোবর) তিনি নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
Advertisement
জিয়াউল হক মৃধা জাতীয় পার্টির (রওশনপন্থি) সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে উপ-নির্বাচনে প্রতীক পাওয়ার পরও নির্বাচন থেকে তিনি সরে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জিয়াউল হক মৃধা জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। পরবর্তীতে তাকে দলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে জিএম কাদের ও রওশন এরশাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। রওশনপন্থিরা সম্মেলনে গত বছরের ২৬ নভেম্বর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা দিয়ে প্রস্তুতি কমিটি করে। সেই কমিটিতে জিয়াউল হক মৃধা সদস্য থাকায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে জিএম কাদের তাকে অব্যাহতি দেন।
ফেব্রুয়ারিতে উপ-নির্বাচনে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। নির্বাচন কমিশন থেকে তাকে ‘আপেল’ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতীক পাওয়ার পর উপ-নির্বাচনের ১২ দিন আগে জিয়াউল হক মৃধা ঘোষণা দিয়ে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ান।
Advertisement
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপ-নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মৃধাও
উপ-নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সময় জিয়াউল হকের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, দু’বারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বহুমুখী উন্নয়নের ধারায় নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করেছি। তবে আসন্ন উপ-নির্বাচন পরবর্তী সংসদীয় মেয়াদকাল জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য খুব সংক্ষিপ্ত সময়। উপ-নির্বাচনের প্রচারণায় আমি আমার নির্বাচনী আসনের ভোটারদের যে ওয়াদা এবং আশ্বাস দিয়ে ভোট প্রার্থনা করবো, সংক্ষিপ্ত সময়ে সে ওয়াদা ও আশ্বাস বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত দুরূহ বলে মনে করি। আমি সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে উন্নয়নের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সম্মানিত ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারি না।
এমন বিবৃতির পর অল্প সময়ের জন্য ফের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জিয়াউল হক মৃধা জাগো নিউজকে বলেন, জনগণ চাচ্ছে তাই আমাকে নির্বাচনে যেতে হচ্ছে। আমি তো জাতীয় পার্টির রওশন গ্রুপের। আগামী নভেম্বরে আমাদের সম্মেলন হওয়ার কথা। তাই আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে হবে।
জিয়াউল হক আরও বলেন, এবারের সময় আরও কম সঠিক। এখন দেখছি রাজনীতিতে যদি ধারাবাহিকতা না থাকে তাহলে শূন্যস্থানে অন্য কেউ এসে পড়বে। কিছুদিন আগে বসে গেছি, এখন যদি না করি কর্মীরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। পরবর্তী নির্বাচন আমার জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। তাই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।
Advertisement
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ছয়বারের সংসদ সদস্য ছিলেন। এছাড়া একবার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মৃত্যুতে ৩ অক্টোবর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ৪ অক্টোবর উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ ৫ নভেম্বর।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসজে/জেআইএম