হামাসের সঙ্গে তীব্র সংঘাতের কারণে গাজা উপত্যকার কাছে এক লাখ রিজার্ভ সৈন্য মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জোনাথন কনরিকাস নামের ওই মুখপাত্র বলেন, আমরা প্রায় এক লাখ রিজার্ভ সৈন্য মোতায়েন করেছি।
Advertisement
এসব সৈন্য বর্তমানে দক্ষিণ ইসরায়েলে রয়েছে। সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমাদের কাজ এই যুদ্ধের অবসান নিশ্চিত করা। ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের হুমকি দেওয়ার মতো আর সামরিক সক্ষমতা হামাসের থাকবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: একদিনে ৬০ হাজার ইসরায়েলির দেশত্যাগ: গ্লোবস
এই মুখপাত্র বলেন, আমরা এটাও নিশ্চিত করতে চাই যে, হামাস গাজা উপত্যকায় শাসন করতে পারবে না। দক্ষিণ ইসরায়েলে অনুপ্রবেশকারী ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের প্রতিহত করবে ইসরায়েলি সেনারা।
Advertisement
গত শনিবার (৭ অক্টোবর) কয়েক হাজার রকেট লঞ্চারসহ ভারী অস্ত্র নিয়ে ইসরায়েলের মাটিতে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। জবাবে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলও।
গাজা থেকে ইসরায়েলে কয়েক হাজার রকেট দিয়ে হামলা চালানো হয়। হামলার পরপরই এর দায় স্বীকার করে নেয় হামাস। ২০ মিনিটে ইসরায়েলে পাঁচ হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
সে সময় হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে তারা। একই সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করতে শুরু করে হামাসের যোদ্ধারা।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০০
Advertisement
এদিকে চলমান সংঘাতে মাত্র একদিনে তেল আবিবের গুরিয়ান বিমানবন্দর দিয়ে অন্তত ৬০ হাজার ইসরায়েলি দেশত্যাগ করেছেন। এখনো হাজার হাজার মানুষ ইসরায়েল ছাড়ার জন্য বিমানবন্দরে ভিড় করছেন।
টাইমস অব ইসরায়েল ও গ্লোবসের প্রতিবেদন বলছে, আতঙ্কের মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোম্পানি ইসরায়েলে ফ্লাইট স্থগিত করেছে। এতে আরও বেড়েছে যাত্রীর চাপ। এছাড়া বর্তমানে বেন গুরিয়ান বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ বন্ধ রয়েছে। বিমানবন্দরের ৩ নম্বর টার্মিনাল দিয়ে অপারেশন পরিচালনা করা হচ্ছে।
টিটিএন