মুন্সিগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী চরকিশোরগঞ্জ এলাকার মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় তৃতীয় দিনেও একের পর এক ভেসে উঠছে মরদেহ।
Advertisement
রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে বিকেল ৪টা ২০মিনিটে মুন্সিগঞ্জ সদরের রমজানবেগ এলাকা সংলগ্ন নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ জান্নাতুল মাওয়ার (৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জান্নাতুল মাওয়া গজারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ফুলদি এলাকার মফিজুলের মেয়ে। এরআগে শনিবার (৭ অক্টোবর) তার মা সুমনা আক্তারের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া নৌবাহিনীর ডুবুরিদলের টিম লিডার লেফটেন্যান্ট আক্কাস আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
আরও পড়ুন: আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ৩ শিশু
ট্রলারডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। এখনো নিখোঁজ রয়েছে দুই শিশু। তারা হলো নিহত সুমনার মেয়ে জান্নাতুল সাফা এবং ২২ মাস বয়সী শিশু ইমাদ।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের উপপরিচালক ওবায়দুল করিম খান জানান, এখন পর্যন্ত আজ তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুই শিশু নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলবে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) ছুটির দিনে স্বজনরা মিলে গজারিয়া থেকে মুন্সিগঞ্জ-নারায়গঞ্জের সীমান্তবর্তী চরকিশোরগঞ্জে ট্রলারযোগে ঘুরতে যান। ঘোরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় ফেরারপথে মেঘনা নদীর মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী স্থানে ঘটে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
Advertisement
আরাফাত রায়হান সাকিব/এসআর/জেআইএম