দ্বিতীয় দিনে পা দিলো ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ। ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫০ হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৮৫৪ ইসরায়েলি। অন্যদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, তাদের হামলায় কমপক্ষে ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩১৩, আহত প্রায় ২ হাজার।
Advertisement
এদিকে, রোববার (৮ অক্টোবর) আরও ফিলিস্তিনি যোদ্ধা দক্ষিণ ইসরায়েলের মাগেন শহরে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো। ওই অঞ্চলে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ট্যাংক ব্যবহার করে বড় যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। পাল্টা বন্দুক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধরা।
টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, সীমান্তের অন্তত ২২টি পয়েন্ট দিয়ে দক্ষিণ ইসরায়েলে ঢুকে পড়ে হামাসের যোদ্ধারা। গাজা সীমান্ত থেকে ১৫ মাইল দূরের শহরেও পৌঁছে যায় তারা। কিছু কিছু জায়গায় কয়েক ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে হামাস সদস্যরা। ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে শনিবার (৭ অক্টোবর) রাতেও তাদের লড়াই চলছিল।
আবার রোববার অধিকৃত সেদরত শহরের ইসরায়েলি বসতি লক্ষ্য করে ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হামাস। নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ তথ্য জানায় হামাসের সশস্ত্র শাখা, আল-কাসাম ব্রিগেড। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাকে হতাহতের তথ্য জানা যায়নি।
Advertisement
হামাসের হামলার পর লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহও ইসরায়েলি বসতি ও সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল অধিকৃত লেবাননের শেবা ফার্মসের তিনটি ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এ হামলায় বিপুল পরিমাণ কামানের গোলা ও গাইডেড (সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম) ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
এদিন সকালে এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানায়, অধিকৃত শেবা ফার্মস অঞ্চলে রকেট ও গোলা হামলা চালিয়েছি আমরা। শেবা ফার্মস দক্ষিণ লেবাননের ইসরায়েল অধিকৃত একটি অঞ্চল, যা ইসরায়েলের উত্তরে অবস্থিত।
জানা গেছে, ইসরায়েলি সেনাদের তিনটি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। অধিকৃত ভূমি উদ্ধার ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করতেই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সশস্ত্র সংগঠনটি।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
Advertisement
এসএএইচ