বাংলাদেশে ২০০৮ সালে একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন স্বস্তিকা মুখার্জি। শাকিব খানের বিপরীতে তাকে দেখা গিয়েছিল 'সবার উপরে তুমি' নামের ছবিতে। সেটি মুক্তি পায় ২০০৯ সালে। এরপর বেশ লম্বা সময় কেটে গেলেও এপারের সিনেমায় আর দেখা মেলেনি স্বস্তিকার৷ অবশেষে কামরুল ইসলাম রিফাতের 'ওয়ান ইলেভেন' দিয়ে আবারও বাংলাদেশের সিনেমায় যুক্ত হলেন কলকাতার নন্দিত এই অভিনেত্রী।
Advertisement
পরিচালক রিফাত এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এরইমধ্যে স্বস্তিকার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। স্বস্তিকা বরাবরই তার চরিত্র ও চলচ্চিত্র নির্বাচনে কঠোর, স্বার্থপর।“ওয়ান ইলেভেন” চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধের সময় তিনি কোন বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়েছেন জানতে চাইলে বলেন, 'ওপার বাংলায় কাজ করার ইচ্ছে আমার প্রবল এবং সেটা বহু বছর ধরে। ২০০৮ সালে প্রথমবার কাজ করেছি। তারপরে বহু পরিচালক-প্রযোজকের সাথে কথা হয়েছে, স্ক্রিপ্ট আদান-প্রদান হয়েছে, কিন্তু ঠিক কাজটি করা হয়নি, ব্যাটে-বলে হয়নি সবটা। কামরুল রিফাত ওয়ান ইলেভেনের গল্পটা আমাকে পাঠিয়েছিলেন ২০২১ সালে। কোভিডের এই পুরো যন্ত্রণার মধ্যেই আমি প্রথম গল্পটা পড়েছিলাম। এবং ২০২১ সাল থেকেই কামরুল রিফাত ও ওনার টিম, ওনাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ স্থাপন হয়েছিল। তারপরে আমি স্ক্রিপ্টটা পড়েছি। অনেকগুলো ড্রাফট পড়েছি, চরিত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে, জুম কলে অনেকগুলো মিটিং করেছি এবং একরকম মুগ্ধতার তৈরী হয়েছে। তাই কাজটা করছি। আশা করছি ভালো একটা কাজ হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি গৎ-এ বাঁধা কোনো চরিত্রে কাজ করবো না। আর যেসব চরিত্রে আমাকে দর্শক দেখে ফেলেছে, তেমন চরিত্রেও কাজ করবো না। কারণ আমি একদম নিজেকে রিপিট করতে চাই না। সবসময় চাই একদম নতুন ভাবে আমি দর্শকের সামনে আসবো। সেটা নতুন চরিত্র হোক, সাজ-পোশাক হোক, চেহারা হোক। ‘ওয়ান ইলেভেন’-এও আমার চরিত্রটা একদম নতুন।'
সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে একটা জটিল সার্জারী হয়েছে এই অভিনেত্রীর৷ বর্তমানে বেশ ভালো আছেন বলে জানান তিনি। সেইসাথে নেটফ্লিক্স ওয়েবসিরিজ কলা’তে ধূসর চরিত্রে অভিনয় করে সবাইকে যেভাবে চমকে দিয়েছিলেন তেমনি 'ওয়ান ইলেভেন' সিনেমায় নতুন চরিত্রে চমকে দেবেন বলে প্রত্যাশা স্বস্তিকার। হুমায়ুন কবির বিশ্বাসের গল্পে ‘ওয়ান ইলেভেন’ চলচ্চিত্রটির সংলাপ লিখেছেন মোজাফফর হোসেন। চিত্রনাট্য সংশোধন ও পরিমার্জন করেছেন গুণী চলচ্চিত্রকার যুগল নূরুল আলম আতিক ও মাতিয়া বানু শুকু। চলচ্চিত্রটির নির্বাহী প্রযোজক রবিন শামস।
Advertisement
এমআই/এসজে