দুদিন আগেও রাজধানীতে ফারমের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা ডজন। যা এখন ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে প্রতি ডজন ডিম ১৫৫ টাকা আর পাড়া-মহল্লার দোকানে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
Advertisement
পাইকারি ডিম ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে ডিমের সরবরাহ কম। এছাড়া বৃষ্টি হলে বাজারে ডিমের চাহিদাও বাড়ে। তাই দামও বেড়েছে।
এদিকে তিন সপ্তাহ আগে খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম সর্বোচ্চ ১২ টাকা বেঁধে দিয়েছিল সরকার। এরপরও দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে ১০ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। ওই সময় কিছুটা দাম কমতে শুরু করেছিল। তবে এখন টানা তিন দিন বৃষ্টির পর ঢাকায় নতুন করে ডিমের দাম বেড়ে গেলো।
বর্তমান হিসেবে ডিমের দাম সাড়ে ১৩ টাকার কাছাকাছি চলে গেছে। এতে এক ডজন ডিম সাধারণ মানুষদের নির্ধারিত দামের থেকে বাড়তি গুনতে হচ্ছে ১৬ টাকা।
Advertisement
নিত্যদিনের খাদ্যতালিকার অন্যতম অনুষঙ্গ ডিমের দাম বাড়ায় অসন্তোষ জানিয়েছেন ক্রেতারা। রামপুরা বাজারে ফরিদা ইয়াসমিন নামের এক ক্রেতা বলেন, সরকারের প্রচেষ্টার কারণে এতদিন দাম যেটুকু কমেছিল তা আবার বেড়ে গেলো। বিষয়টি দাঁড়ালো যে লাউ সেই কদু। আমাদের বাড়তি দামেই খেতে হবে।
মালিবাগ কাঁচাবাজারের বিক্রেতা বাবুল মিয়া বলেন, একদিনে দাম বেড়ে গেছে ডিমের। পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা কী করবো? পাইকারি বিক্রেতার একদাম-এককথা। নিলে নেন, না নিলে নাই।
রামপুরা এলাকায় ভাই ভাই স্টোরের কালাম বলেন, বৃষ্টি হলে ডিমের চাহিদা বাড়ে। তাই দামও বাড়ে। অন্য সবজির দাম বাড়ার কারণে ডিমের ওপর চাপ পড়ে। মানুষ বাজারে যেতে চায় না, দোকান থেকে কিনে ডিম খায়।
এদিকে তেজগাঁও ডিমের আড়তের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন আড়তে আমদানি অনেক কম ছিল। এতে প্রতি ১০০ ডিমের দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এখন আবহাওয়ায় স্বাভাবিক হচ্ছে। দাম কমে যাবে দু-একদিনের মধ্যে।
Advertisement
এনএইচ/এসজে