হামাসের উপ-প্রধান সালেহ আল-আরোরি বলেছেন, আমরা এখন যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। এমনকি, আমরা ইসরায়েলের স্থল আক্রমণের জন্যও প্রস্তুত আছি।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল এখন গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। আমরা এত সহজে তাদের লক্ষ্য পূরণ হতে দেবো না। আমাদের সেনারা প্রাণপন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে তিনি বলেন, এটা কোনো চোরাগোপ্তা অপারেশন নয়। আমরা সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করেছি। আমার লড়াই চালিয়ে যেতে ও লড়াইয়ের পরিধি বাড়াতে চাই। আমাদের লক্ষ্য একটাই, আমাদের স্বাধীনতা ও আমাদের পবিত্র স্থানগুলোর স্বাধীনতা। লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবো।
আরও পড়ুন: সংঘাতের জন্য ইসরায়েলই দায়ী: কাতার
Advertisement
এর আগে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ইসরায়েলে আক্রমণ চালিয়ে সেনাসদস্যসহ অনেক বেসামরিক নাগরিককে বন্দি করেছে। বন্দিদের মধ্যে ইসরায়েলের জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তারাও আছেন বলে দাবি করেছে হামাস।
এ বিষয়ে হামাসের উপ-প্রধান বলেন, আমরা বড় সংখ্যক ইসরায়েলি নাগরিকদের বন্দি করেছি। তাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে ঢুকে পড়েছে ১০০০ ফিলিস্তিনি যোদ্ধা: রিপোর্ট
শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে গত কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলে সবচেয়ে বড় আক্রমণ চালায় হামাস। এ আক্রমণে মাত্র ২০ মিনিটের ব্যবধানে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থান ও অবকাঠামো লক্ষ্য করে পাঁচ হাজার রকেট ছোড়া হয়। এ হামলায় কমপক্ষে ১০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর জবাবে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের পালটা আক্রমণে কমপক্ষে ১৯৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
Advertisement
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইসরায়েলকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নিরাপত্তা ক্যাবিনেটের বৈঠকের বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রথম লক্ষ্য হলো, অনুপ্রবেশকারী শত্রুবাহিনীর ঘাঁটিগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া ও আক্রমণের মুখে পড়া সেটেলমেন্ট বা বসতি এলাকায় নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করা।
আরও পড়ুন: ‘ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র’
যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোষণা করে নেতানিয়াহু আরও বলেন, আমাদের শত্রুদের এমন মূল্য দিতে হবে, যা তারা কখনো দেখেনি। আমরা যুদ্ধের মধ্যে রয়েছি ও এই যুদ্ধে আমরাই জিতবো।
সূত্র: আল জাজিরা
এসএএইচ