গাজা উপত্যকার সীমান্ত বেড়ার কাছাকাছি দক্ষিণ ইসরায়েলের সাতটি স্থানে হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এরই মধ্যে হামাসের কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার পাশাপাশি ১৭টি সামরিক কম্পাউন্ড ও চারটি সদর দপ্তরে হামলা চালানো হয়ে বলে জানিয়েছে তারা।
Advertisement
ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে জরুরি বৈঠকে বসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি হামলার পরপরই গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অবরুদ্ধ ছিটমহলের হাসপাতালগুলোতে রক্তদানের আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে শনিবার (৭ অক্টোবর) গাজা থেকে ইসরায়েলে কয়েক হাজার রকেট ছোড়ে হামাস। ২০ মিনিটে ইসরায়েলে পাঁচ হাজার রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে জানায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি। পাশাপাশি, ইসরায়েলের ভেতরে সশস্ত্র যোদ্ধারা ঢুকে পড়ারও খবর পাওয়া গেছে।
עשרות מטוסי קרב של חיל האוויר תקפו לפני זמן קצר במספר מוקדים מטרות של ארגון הטרור חמאס ברצועת עזה.דובר צה"ל שב ומבקש מהציבור להישמע להנחיות פיקוד העורף, המצילות חיים.תיעוד מהתקיפות מוקדם יותר: pic.twitter.com/pnxdRyv4Un
Advertisement
হামাসের এ ত্রিমুখী হামলায় এখন পর্যন্ত ২২ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ৫৪৫ জন। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এ অবস্থায় ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’ ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, আমাদের শত্রুদের এমন মূল্য দিতে হবে, যা তারা কখনো দেখেনি। আমরা যুদ্ধের মধ্যে রয়েছি এবং এই যুদ্ধে আমরাই জিতবো।
হামলার দায় স্বীকার করে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের নেতা মোহাম্মদ দায়েফ এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা ফিলিস্তিনিদের রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা এরই মধ্যে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ৫ হাজার রকেট হামলা চালিয়েছি।
টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, জেরুজালেমে বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। ইসরায়েলি বসতিতে হামাস যোদ্ধারা ঢুকে পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে গেছে।
Advertisement
সূত্র: আল জাজিরা
এসএএইচ