ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন প্রয়াত সংসদ সদস্য (এমপি) উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার।
Advertisement
শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে তিনি এ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এসময় মাইনুল হাসানের সঙ্গে তার দুই সহযোগী ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাইনুল হাসান তুষার জাগো নিউজকে বলেন, সকালে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। তারপর পূরণ করে জমা দিয়েছি।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যাশা করছি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শিগগির সাক্ষাৎ করতে পারবো। উনার প্রতি আমি এবং আমার পরিবার কৃতজ্ঞ। আমার বাবার জীবনের শেষ সময়ে তিনি মূল্যায়ন করেছেন, সম্মান দিয়েছেন। আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিয়েছি। আশা করছি, উনি আমার বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়নের সুযোগ দেবেন।’
Advertisement
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা গত ৩০ সেপ্টেম্বর মারা যান। তার মৃত্যুতে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ ৫ নভেম্বর।
উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীসময়ে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও জুনের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার থেকে আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন আব্দুস সাত্তার। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন।
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন আব্দুস সাত্তার। ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন। বিষয়টি তখন দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি করে।
এদিকে, শনিবার দুপুর পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে মোট ১৪ জন ফরম সংগ্রহ করেছেন। রোববার (৮ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে।
Advertisement
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/জেআইএম