আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পের পর আঘাত হেনেছে আরও অন্তত চারটি শক্তিশালী আফটারশক। এর ফলে বহু মানুষের প্রাণহানি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর এএফপির।
Advertisement
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল হেরাত শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে। এরপর আরও চারটি আফটারশক আঘাত হানে এলাকাটিতে। রিখটার স্কেলে সেগুলোর মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৫ দশমিক ৫, ৪ দশমিক ৭, ৬ দশমিক ৩ ও ৫ দশমিক ৯।
প্রথমে অবশ্য ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ২ বলে জানিয়েছিল ইউএসজিএস। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার গভীরে।
এএফপির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পরপরই মানুষজন ঘরবাড়ি-দোকানপাট ছেড়ে বেরিয়ে আসে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
Advertisement
Notable quake, preliminary info: M 6.2 - 26 km NNE of Zindah Jān, Afghanistan https://t.co/4l9faNM9Qg
— USGS Earthquakes (@USGS_Quakes) October 7, 2023বশির আহমেদ নামে ৪৫ বছর বয়সী এক বাসিন্দা বলেন, আমরা অফিসে ছিলাম। হঠাৎ ভবনটি কাঁপতে শুরু করে। দেওয়ালের প্লাস্টার খুলে পড়ছিল এবং সেখানে ফাটল দেখা দেয়। কিছু দেওয়াল ও ভবনের কিছু অংশ ধসে পড়েছে।
তিনি বলেন, আমি আমার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। নেটওয়ার্ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমি খুবই চিন্তিত এবং ভীত। এটি ভয়ংকর ছিল।
ইউএসজিএসের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, এই ঘটনায় শত শত প্রাণহানি সম্ভব। সংস্থাটি বলেছে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে এবং সম্ভাব্য বিপর্যয় হতে পারে ব্যাপক।
Advertisement
ইরান সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত হেরাত। আফগানিস্তানের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয় শহরটিকে। সেখানে প্রায় ১৯ লাখ মানুষ বসবাস করে।
গত জুনে দেশটির পাকতিকা প্রদেশে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার এক ভূমিকম্পে প্রাণ হারান এক হাজারের বেশি মানুষ। এটি ছিল কয়েক দশকের মধ্যে আফগানিস্তানে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প।
এর আগে, গত মার্চে ৬ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে মারা যান অন্তত ১৩ জন। এটি আঘাত হেনেছিল আফগানিস্তানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহর জুর্মে।
কেএএ/