যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা খান টিপু সুলতানের ছেলে হুমায়ুন সুলতান শাদাবকে একই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেল করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল।
Advertisement
শনিবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব মো. শফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ তাদের সাতদফা দাবির মধ্যে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি সৃষ্টির লক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বিভিন্নভাবে প্রস্তুত করছে। মাঠ পর্যায়ে জনগণের আস্থা, বিশ্বাস, গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা পর্যালোচনা করছে।
তিনি বলেন, দেশের ৬৪ জেলার প্রতিটি উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের নিয়ে জাতীয় সংগঠন তৈরি করেছে। যা এযাবৎকালে সর্ববৃহৎ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সংগঠন বলে সর্ব মহলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের অনেক নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সে লক্ষ্যে আমরা মাঠপর্যায়ে জনপ্রিয়তা যাচাই-বাছাই করে অন্তত অর্ধশতাধিক শক্তিশালি প্রার্থীর তালিকা প্রস্তুত করছি।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, যারা সবাই প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমরা ধারাবাহিকভাবে সেই তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেব। যশোর-৫ (মণিরামপুর) সংসদীয় আসন একটি অবহেলিত জনপদ। এই উপজেলার অধিকাংশ মানুষ আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল। এই অঞ্চলের দুঃখ ‘ভবদহ’। বিস্তীর্ণ ভবদহ অঞ্চলে আবারও নতুন করে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে এলাকায় বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে। এলাকার বর্তমান শীর্ষ জনপ্রতিনিধির সীমাহীন দায়িত্বহীনতা, অব্যবস্থাপনা এবং অবহেলার কারণে শেখ হাসিনা সরকারের প্রদত্ত সকল সুবিধা থেকে স্থানীয় মানুষেরা বঞ্চিত হচ্ছে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, এলাকার মানুষের অসন্তোষ দিন দিন আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে জনমতের বিশ্লেষণে নির্বাচনী এলাকায় শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও বর্তমান সংসদ সদস্যের অবস্থান ও জনপ্রিয়তা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে বলে তৃণমূল পর্যায়ে থেকে আমরা জানতে পারছি। এমতাবস্থায় এই ব্যক্তিকে আবার মনোনয়ন দিলে জনসাধারণের ব্যাপক অসন্তোষ, বিক্ষোভে রূপধারণ করবে বলে আমরা মনে করি। যার কুপ্রভাব গিয়ে পড়বে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের শেষ আশ্রয় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ওপর। এ কারণে বিবেকবান মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমরা তা কখনোই মেনে নিতে পারি না।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হুমায়ুন সুলতান শাদাব বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটি চিরন্তন সত্য মানুষের আস্থা এবং বিশ্বাস অনেক বড় নিয়ামক। বাবা মারা যাবার পর আমি মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে গেছি। গ্রামে, পাড়ায় মহল্লায় সবাই আমাকে পছন্দ করে। জনগণই আমাকে সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের ছোঁয়া এলাকায় পৌঁছে দিতে চাই। এজন্য আমার স্থান থেকে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
এনএমএইচ/এমআরএম/এএসএম
Advertisement