মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় নিখোঁজ সুমনা আক্তারের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা রমজান বেগ এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মো. ওবায়দুল করিম জানান, সুমনা গজারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ফুলদি এলাকার মফিজুলের স্ত্রী। দুর্ঘটনা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন তার দুই মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা (৩) ও জান্নাতুল মাওয়াসহ (৭) পাঁচজন।
অপর তিনজন হলো- মারোয়া আক্তার (৯), সাব্বির (৪০) ও তার ছেলে ইমাদ (৭)। সাব্বির ও ইমাদের বাড়ি রংপুরে।
এদিকে শনিবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে নব পুলিশ কোড গার্ড এবং বিআইডব্লিউটিএর সংশ্লিষ্টরা। রাতে নদীতে না নামতে পারলেও সকাল থেকে নদীর তলদেশে তল্লাশি চালাচ্ছে ডুবরি দল। তবে নদীর তলদেশ গভীর ও যত্রতত্র ড্রেজিংয়ের কারণে বেগ পেতে হচ্ছে তল্লাশি কার্যক্রম।
Advertisement
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবিতে মা ও সন্তানসহ নিখোঁজ ৬
কোস্টগার্ডের ডুবরি মো. অপু শেখ বলেন, নদীর কোথাও ৭০ ফুট, কোথাও ৮০ ফুট আবার কোথাও ১২০ ফিট গভীর। ড্রেজিংয়ের কারণে কোথাও গভীর খাদ। সেক্ষেত্রে আমাদের উদ্ধার তৎপরতায় বেগ পেতে হচ্ছে।
নিখোঁজ সাব্বিরের বড় ভাই মো. শামীম বলেন, আমার ভাই-ভাতিজার সন্ধান চাই। ঘাতক বাল্কহেডটি এখনো আটক করা যায়নি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই আমরা।
বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মো. ওবায়দুল করিম বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় রাত ১২টার দিকে অভিযান বন্ধ করা হয়। শনিবার সকাল ৬টা থেকে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান চলছে। সাড়ে ৬টার দিকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
শুক্রবার ছুটির দিনে স্বজনরা মিলে গজারিয়া থেকে মুন্সিগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী চরকিশোরগঞ্জে ট্রলারযোগে ঘুরতে যায় ১২জন আত্মীয়। ঘুরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় ফেরার পথে মেঘনা নদীর মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাতে আধারে অবৈধভাবে চলা বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায় চালকসহ ১৩ যাত্রী।
আরাফাত রায়হান সাকিব/আরএইচ/এমএস