কিশোরগঞ্জে গত দুদিনের টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে এক হাজার ৮৮৬ হেক্টর ধান ও সবজির জমি। এরমধ্যে এক হাজার ৬২০ হেক্টর রোপা আমন ধানের জমি ও ২৬৬ হেক্টর সবজির জমি রয়েছে। এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলার কৃষকরা।
Advertisement
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাত পৌনে ৯টায় কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কিশোরগঞ্জ জেলায় ৮৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়। এছাড়া চলতি মৌসুমে সবজির চাষ হয়েছে ১০ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। গত দুদিনের টানা ভারী বর্ষণে ১৬২০ হেক্টর রোপা আমন ধানের জমি ও ২৬৬ হেক্টর সবজির জমি তলিয়ে গেছে। সবজির জমি বেশি তলিয়ে গেছে জেলার পাকুন্দিয়া, বাজিতপুর, হোসেনপুর উপজেলায়। আর রোপা আমন ধান তলিয়ে গেছে বেশি কটিয়াদী উপজেলায়।
আরও পড়ুন: ভেসে গেছে সাড়ে ছয় হাজার পুকুরের মাছ, ক্ষতি ৪৩ কোটি টাকা
Advertisement
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কাশোরারচর গ্রামের কৃষক সাদেক পাঠান বলেন, আমার এক একর ধানের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। যদি পানি দ্রুত চলে যায় তাহলে হয়তো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। না হলে সব চলে যাবে।
একাই এলাকার কৃষক পাঠান বলেন, আমার লাউ ও কুমড়ার সবজির বাগান তলিয়ে গেছে। এতে করে সবজি গাছ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছি।
জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার পোরাবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাড়ির সামনের ও পেছনের বনের প্রায় ৫০০ একর ধানের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। আর বৃষ্টি না হলে ও পানি নেমে গেলে হয়তো ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। পানি জমিতে জমে থাকলে সব ধান নষ্ট হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় পানির নিচে ১১ হাজার হেক্টর আমনক্ষেত
Advertisement
কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার জানান, জমিতে জমা পানি যদি ২-৩ দিন থাকে তাহলে রোপা আমন ধান ও সবজি জমির ক্ষতি হবে বেশ। আর যদি বৃষ্টি না হয় এবং পানি নেমে যায় তাহলে কিছুটা ক্ষতি কম হবে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করবো। পরে যাচাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। বরাদ্দ এলে উপজেলা কমিটির মাধ্যমে চাষিদের পুনর্বাসন করা হবে।
এসকে রাসেল/জেডএইচ/