দেশজুড়ে

নেত্রকোণায় পানির নিচে ১১ হাজার হেক্টর আমনক্ষেত

নেত্রকোনায় টানা বৃষ্টিতে বেড়ে চলেছে জেলার প্রধান নদ-নদীর পানি। পানি বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এতে কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আমনক্ষেত তলিয়েছে।

Advertisement

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নিচু এলাকার ১১ হাজার ৪৮২ হেক্টর জমির আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। কেন্দুয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আমন ধানের জমি তলিয়েছে। তলিয়ে যাওয়া জমির মধ্যে সদরে দুই হাজার ৪৭০, পূর্বধলায় দুই হাজার ৩৬০, দুর্গাপুরে ৪৫, কলমাকান্দায় ১৮০, মোহনগঞ্জে এক হাজার ২০০, বারহাট্টায় ২১৫, আটপাড়ায় এক হাজার, মদনে ৫০০, খালিয়াজুরীতে ১২ ও কেন্দুয়ায় তিন হাজার ৫০০ হেক্টর।

কলমাকান্দা উপজেলার কনুরা গ্রামের কৃষক মনতোষ বিশ্বশর্মা জানান, তিনি চলতি বছর ৩০ কাটা জমিতে আমন আবাদ করেছেন। এরমধ্যে গত তিনদিনের বৃষ্টিতে ছয় কাঠা আমন জমি তলিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘হাতে টাকা ছিল না। কিছু টাকা ধার করে এনে ধান লাগাইছিলাম। কপালডাই খারাপ। বৃষ্টির পানিতে জমি তলায়া গেছে। এখনো বৃষ্টি অইতাছে। এই ক্ষেতগুলোর ধান বাঁচাবো বইল্যা কোনো আশাই নাই।’

Advertisement

কেন্দুয়া উপজেলার দুল্লী গ্রামের কৃষক লিয়াকত আলী। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাড়ির সামনের হাওরে প্রায় ২০ কাঠা ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এইডির আর আশা নাই।’

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারওয়ার জাহান জানান, উব্ধাখালি নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার মাত্র দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমেশ্বরী, কংশ ও ধনু নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নুরুজ্জামান বলেন, কৃষকদের এখনই হতাশ হওয়া উচিত হবে না। দ্রুত পানি নেমে গেলে আমন ধানের তেমন ক্ষতি হবে না।

এইচ এম কামাল/এসআর/জেআইএম

Advertisement