বিনোদন

বন্যার্তদের সাহায্য দিয়েও বিতর্কের মুখে কঙ্গনা

ভারতের হিমাচল প্রদেশের মানুষ বন্যার পানিতে সবকিছু ডুবে যাওয়ায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। বিপর্যস্ত সে দেশের বিভিন্ন পার্বত্য এলাকা। হিমাচল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে উদার হাতে টাকা পাঠাচ্ছেন ভারতবাসী।

Advertisement

আরও পড়ুন: সবুজ শাড়িতে দেখা দিলেন কঙ্গনা

পিছিয়ে নেই বলিউডের বড় বড় তারকারাও। সবার প্রথমে যেমন এগিয়ে এসেছেন আমির খান বন্যার সাহায্য তহবিলে দিয়েছিলেন ২৫ লাখ রুপি।

সঙ্গত কারণেই সবার চোখ ছিল কঙ্গনা রানাউতের দিকে। কারণ তিনি তো সেখানকার পাহাড়ি মেয়ে। মান্ডি জেলার ভাম্বলা গ্রামে তার আদি নিবাস। তারকা হয়ে যখন দুহাত ভরে উপার্জন করেছেন, তখন কুলুতে বানিয়েছেন এক বিলাসবহুল অট্টালিকাও। প্রায়ই সেখানে ছুটি পেলেই তিনি চলে যান। ফলে তিনি কত দেবেন নিজের রাজ্যের বন্যাত্রাণে, সেটাই হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিরাট প্রশ্ন।

Advertisement

আরও পড়ুন: শাহরুখকে সিনেমার ‘ঈশ্বর’ বললেন কঙ্গনা

প্রশ্ন বিরাট হলে কী হবে, নায়িকা যে ৫ লাখ রুপি বেশি দান করতেই পারলেন না! বলতে নেই, নানা কারণে বিতর্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলিউডের এই সুন্দরীকে নিয়ে। কিন্তু এবারেরটা যেন রীতিমতো লজ্জার পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়াল।

অনেকেই দানের পরিমাণ দেখে মানতে পারছেন না। ভাবলেন এত কৃপণ নায়িকা, নিজের রাজ্যের জন্য আরও একটু বেশি টাকা কী পাঠানো যেত না! কিন্তু যেটা অনেকেই জানলেন না এবং সেই কারণেই বুঝলেনও না যে সদিচ্ছা সত্ত্বেও এর থেকে বেশি অংকের অর্থ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঠাতে পারেননি কঙ্গনা।

Trying to donate for Himachal floods disaster but the government there can’t even run a aapada rahat kosh properly, such a shame, after trying whole day more than 50-60 times could only donate some amount #himachalfloods pic.twitter.com/JtcdNJhF04

Advertisement

— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) October 5, 2023

মুখ্যমন্ত্রী নিজে চিঠি লিখে কঙ্গনাকে সাহায্যের অনুরোধও জানিয়েছিলেন। এগিয়ে এসেছিলেন নায়িকাও। গোল বাধল এর পরেই, হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল কঙ্গনাকে ৫ লাখ রুপির বেশি অনলাইন লেনদেনের অনুমতি দিল না। একটুতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন কঙ্গনা। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না।

নিজের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সঙ্গে কথোপকথনের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দিলেন কঙ্গনা। জানালেন যে সারাদিন ধরে তারা একটানা চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন, কিন্তু ত্রাণ তহবিল অনলাইনে ৫ লাখ রুপির বেশি কিছুতেই পাঠাতেই দিল না। যদিও তিনি খুব কম হলেও ১০ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিলেন।

নাগরিকরা বলছেন সে তো হক কথাই! অনলাইনে অসুবিধা তো কী হয়েছে, নিজেরই তো জায়গা, কঙ্গনা এসে বাকি টাকা দিয়ে রাজ্যের পাশে দাঁড়ান না। বন্যার্তদের সাহায্য করেও বিতর্কের মুখে পড়েছেন কঙ্গনা। তবে এ নিয়ে মুখ খুলছেন না তিনি।

এমএমএফ/জেআইএম