খেলাধুলা

শেষটা স্মরণীয় করে রাখতে পারবে বাংলাদেশ?

নিউজিল্যান্ডের সাথে এ পর্যন্ত যে ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, তার সবক’টিতেই জিতেছে নিউজিল্যান্ড। এই তিন ম্যাচে বাংলাদেশের কোন জয় না থাকলেও এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, গত প্রায় ২ বছরের বেশি সময় ধরে তাদের বিপক্ষে কোন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। অথচ গত ২ বছরই বাংলাদেশের সাফল্যের গ্রাফটা ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তাই সাম্প্রতিক সময়ের সাফল্য বিবেচনায় বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনাও বেশ উজ্জ্বল।গত প্রায় দেড় বছরে বিশেষত ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের উন্নতি ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো; কিন্তু ক্রিকেটের এই ছোট সংস্করণে টাইগারদের তেমন সাফল্য ছিল না। কিন্তু গত এশিয়া কাপ থেকে এখানেও বদলে গেছে টাইগারদের খেলার ধরণ। যার ফলস্বরূপ তারা ছিল এশিয়া কাপের রানার্সআপ দল। সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে বিশ্ব টি-টোয়েন্টির বাছাইপর্ব খেলতে এসেও আধিপত্য রেখেই সুপার টেনে উঠে যায় বাংলাদেশ। সুপার টেনে পাকিস্তানের বিপক্ষে আশানুরূপ না খেললেও অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিপক্ষে দারুণ পারফর্ম করে টাইগাররা।বিশেষ করে দলের দুই মূল বোলার আরাফাত সানি ও তাসকিনের আকস্মিক নিষেধাজ্ঞার পর কিছুটা বিমর্ষ ছিল মাশরাফি বাহিনী; কিন্তু সেই শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে ভারতের বিপক্ষে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখালেও ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ম্যাচটি ১ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। যদিও এই ম্যাচের পর কপিল দেব, ব্রায়ান লারা কিংবা ওয়াসিম আকরামের মত কিংবন্তিরা বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।তবে দলীয় সামর্থ্যের বিবেচনায় নিউজিল্যান্ড এখন যথেষ্টই শক্তিশালী দল এবং বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে তারা এখনও অপরাজিত। কিন্তু এক্ষেত্রে খুব আক্ষেপের বিষয় যে, যে নিউজিল্যান্ডকে বাংলাদেশ দেশের মাটিতে দুইবার স্পিনের ঘূর্ণিজালে হোয়াইটওয়াশ করেছিল, সেই স্পিনেই এখন কিছুটা ঘাটতি আছে বাংলাদেশের। অপরদিকে স্পিনে নিউজিল্যান্ডের অবস্থান এখন বেশ ভাল, স্যান্টনার ও সোধির মত স্পিনারদের কল্যাণে বোলিংয়ে দারুণ শক্তিশালী কিউইরা। উল্লেখ্য যে, উপমহাদেশীয় উইকেট স্পিনের জন্য বেশ কার্যকর।বিশ্ব ক্রিকেটের মন জয় করা পারফম্যান্স দিয়েও দুর্ভাগ্যজনকভাবে সুপার টেনে একটিও ম্যাচ জিততে পারেনি টাইগাররা। বাংলাদেশ কি পারবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের শেষটা স্মরণীয় করে রাখতে? অন্তত তাহলে হয়তো ভারতের বিপক্ষে ১ রানে হারের পর কিছুটা সান্ত্বনা নিয়ে দেশে ফিরতে পারে বাংলাদেশ, দর্শকরাও পেতে পারে কিছুটা স্বস্তির উপলক্ষ!লেখক: কম্পিউটার প্রকৌশলীআইএইচএস/এমএস

Advertisement