তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশ ও চর থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের সিকিমে ভয়াবহ বন্যায় তারা মারা গেছেন। আর সেই মরদেহ নদী দিয়ে ভেসে বাংলাদেশে এসেছে। এরই মধ্যে বিএসএফের কাছে একটি মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিজিবি।
Advertisement
সবশেষ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিস্তা নদী তীরবর্তী লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের পাকারমাথা নামক স্থান থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের (৩২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানান, বিকেল থেকে তিস্তায় পানি কমতে শুরু করে। এতে মাছ ধরতে যান তিস্তা পাড়ের মানুষ। পরে মরদেহটি ধানক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সিকিমে ভারী বর্ষণে বন্যা, ২৩ বাংলাদেশিসহ দুই হাজার পর্যটক আটকা
লালমনিরহাট সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তুষার কান্তি জানান, তিস্তা নদীর তীরে এক যুবকের মরদেহ পড়ে আছে এমন সংবাদে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে ওই যুবক ভারতের নাগরিক।
Advertisement
এর আগে বিকেলে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদী থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি পানির স্রোতে ভারত থেকে ভেসে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, তিস্তায় পানি কমতে শুরু করায় কিছু ছেলে দলবেঁধে নদীতে ঘুরতে গিয়ে চরে মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
আরও পড়ুন: সিকিমে আকস্মিক বন্যায় ২৩ সেনা নিখোঁজ
গঙ্গাচড়ার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মমতাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। এখন পর্যন্ত এর কোনো ওয়ারিশ পাওয়া যায়নি। মরদেহ ভারত থেকে ভেসে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Advertisement
এছাড়া বৃহস্পতিবার সকালে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কিছামত ছাতনাই চর থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে বিজিবি।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমে প্রবল বর্ষণের কারণে লোনাক হ্রদ উপচেপড়ায় ওই অঞ্চলে বিপর্যয়কর বন্যা দেখা দিয়েছে। সিকিমের বন্যার কারণে তিস্তায় বাংলাদেশ অংশে পানির স্তর বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
জিতু কবীর/জেডএইচ