মৌসুমি বায়ু ও লঘুচাপের মিলিত প্রভাবে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর থেকেই রাজধানীতে বৃষ্টি হচ্ছে। সন্ধ্যার পর বৃষ্টি আরও বাড়ে। এতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দেখা দেয় তীব্র যানজট। আবার কোনো কোনো সড়কে জমে যায় বৃষ্টির পানি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী।
Advertisement
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজট ও জলাবদ্ধতার চিত্র দেখেন জাগো নিউজের প্রতিবেদকেরা।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে ভারী বৃষ্টি, রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ২৪৪ মিলিমিটার
Advertisement
এরমধ্যে শাহবাগ ও মতিঝিলসহ আশপাশের সব সড়কে যানজট দেখা যায়। তবে বৃষ্টির কারণে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন বাসযাত্রীরা। যাত্রী বেশি হওয়ায় বেশিরভাগ বাসের গেট আটকানো ছিল। ফলে উপায় না পেয়ে কেউ কেউ পায়ে হেঁটে, মোটরসাইকেলে আবার কেউ বা সিএনজিতে করে গন্তব্যের দিকে যান।
এদিকে ফার্মগেটে কোনো বাস খালি দেখা যায়নি। শতশত যাত্রীকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অপরদিকে রাত সাড়ে ৮টায় মালিবাগ আবুল হোটেল থেকে রামপুরা পর্যন্ত ছিল তীব্র যানজট। এছাড়া মৌচাকে গাড়ির চাপ ছিল বেশি। রাস্তায় অনেককেই গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
অপরদিকে বৃষ্টির কারণে সন্ধ্যার পর থেকে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় শুরু হয় যানজট। যানজট আর বৃষ্টিতে ইসলামপুর ও বাংলা বাজারের ব্যবসায়ীরা পড়েন ভোগান্তিতে।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকায় ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি, ভোগান্তিতে নগরবাসী
Advertisement
এছাড়া রাতে নিউমার্কেট ও এর আশেপাশের কয়েকটি মার্কেটের কর্মচারীরাও পড়েন ভোগান্তিতে। মার্কেট বন্ধ হলেও বৃষ্টির কারণে অনেকেই বের হতে পারছিলেন না। এছাড়া বৃষ্টিতে রিকশা ভাড়া কয়েকগুণ পর্যন্ত বেশি নেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
এদিকে বনানী, মহাখালী, তেজগাঁওয়েও দেখা গেছে যানবাহনের চাপ। অনেককে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
বনানীর চেয়ারম্যানবাড়িতে বাসের জন্য প্রায় ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলেন মগবাজারের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, সন্ধ্যা ৭টায় তার অফিস শেষ হয়েছে। এরপর রিকশায় চেয়ারম্যানবাড়ি গিয়ে পাদচারী সেতুর নিচে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু কোনো বাসা ফাঁকা নেই। সব বাসে যাত্রী পরিপূর্ণ। তাই রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন।
এমএমএ/জেডএইচ/