রাজধানীর গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স (পুরাতন হোম ইকনোমিক্স কলেজ) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কলেজের লোহার গ্রিল (রড) চুরি করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে গ্রিলগুলো বিক্রির ঘটনা ঘটে ৷ প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে ঘটনা জানা গেছে।
তারা জানান, কলেজর দক্ষিণ পাশে ইডেন মহিলা কলেজ সংলগ্ন উভয় কলেজের প্রাচীরের উপরে লোহার গ্রিলে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। এর ফলে মাটিতে পড়ে যাওয়া প্রায় এক টন ওজনের লোহার গ্রিল কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে ভাঙারিতে চল্লিশ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক৷
১৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) কলেজ বন্ধ থাকার সুযোগে হল গেট দিয়ে গাড়িতে মালগুলো বের করে দেন তারা। এসময় গেটে থাকা নিরাপত্তা প্রহরী বাধা দিলে কথা কাটাকাটি ও ধমক দিয়ে এসব মালামাল কলেজ থেকে বের করে দেন ছাত্রলীগের দুই নেত্রী। পরে বিষয়টি কলেজ প্রশাসন জানতে পারে।
Advertisement
ওই কলেজের এক শিক্ষিকার স্বামী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা। ওই নেতা দুই ছাত্রলীগ নেত্রীকে ঘটনার পরে কল করলে সেদিন রাতেই মালামাল আবারও কলেজে ফেরত আসে। বর্তমানে মালামালগুলো কলেজেই রাখা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের এক নিরাপত্তা প্রহরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘দুইডা গাড়ি ঢুকছিল। রড নিয়া বাইর হওয়ার পর ম্যাডামরা মনে হয় ফোন দিছে। পরে আবার মালামাল ফেরত দিয়ে গেছে।’
জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সোনিয়া বেগম বলেন, এটি এখন আমাদের হেফাজতেই আছে। থাক! আমাদের কাছেই আছে। এখন নামাজে দাঁড়াবো, আর কথা না বলি। কলেজে এখন ভালো পরিবেশ আছে, থাকুক। এটাকে আর বড় করবেন না। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এখন কলেজেই আছে।
জানতে চাইলে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকলিমা আক্তার প্রভাতী বলেন, আপনার কাছে কে অভিযোগ দিয়েছে? আমার আম্মু কয়েকদিন ধরে অসুস্থ। আমি তাকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। আমি এসব বিষয়ে কিছু জানি না। আপনি কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন।
Advertisement
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শারমিন সুলতানা সনিকে একাধিকবার কল দিলেও ফোন ধরেননি। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে মোবাইলে ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও সাড়া মেলেনি। পরে আবারও কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এর আগে এ দুই ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে চাঁদা না দেওয়ায় কলেজের হলের মেরামত কাজ বন্ধ করে দেওয়া, কলেজের মূল ফটকের সামনের লেগুনা স্ট্যান্ড ও ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগও উঠেছিল।
এমএনএইচ/এমএইচআর/জেআইএম