রাজশাহীতে হঠাৎ অতিভারী বৃষ্টির কারণে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর। টানা বৃষ্টিতে রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নগরবাসী।
Advertisement
জলাবদ্ধতায় যানচলাচল না করতে পারলেও রাস্তায় চলছে নৌকা। রাজশাহী সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, বৃষ্টির পানি নামতে আরও এক থেকে দুদিন সময় লাগবে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বুধবার (৪ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে থেকে রাজশাহীতে শুরু হয় অতিভারী বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ১টা পর্যন্ত বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ২৪৬ মিলিমিটার।
শহরের বর্ণালির মোড় এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, জলাবদ্ধতায় কোনো যানচলাচল করতে না পারায় নৌকায় করে পারাপার হচ্ছে মানুষ। বর্ণালির মোড় থেকে কামরুজ্জামানের মাজার পর্যন্ত নৌকা চলাচল করতে দেখা গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, যানচলাচল করতে না পারায় এখানে নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিছু স্বেচ্ছাসেবী নৌকা পার করছেন। অনেকে তাদের টাকাও দিচ্ছেন।
Advertisement
বর্ণালির মোড়ে নৌকায় পারাপার হন সিহাবুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে অল্প বৃষ্টি হলেও পানি জমে যায়। এজন্য এখানে পারাপার হওয়া খুব কঠিন। এখন আমরা নৌকায় পারাপার হচ্ছি। খুব কষ্ট করে এ রাস্তা পার হতে হচ্ছে।’
বর্ণালির মোড়ের একটি মেসে থাকেন শহিদুল ইলাম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘কাল রাত থেকেই ঘরে পানি উঠেছে। এখানে আমাদের চাল, ডাল সব ভিজে গেছে। ঘরে এখনো পানি আছে। এসব পানি অনেক নোংরা।’
নৌকায় করে স্থানীয়দের পার করা একজন স্বেচ্ছাসেবী জাগো নিউজকে বলেন, ‘একটি কোচিং সেন্টার ও স্থানীয়দের সহায়তায় নৌকায় পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য কারও কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে না।’
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক হেলেন খান বলেন, রাজশাহীতে অতিভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এটি আগামী দু-একদিন পর্যন্ত থাকতে পারে।
Advertisement
সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর ইসলাম তুষার বলেন, রাজশাহী সিঅ্যান্ডবির মোড়ে কিছু জলকপাট আছে। এগুলোর প্রশস্ততা দুই থেকে আড়াই ফুট, এটি বাড়াতে হবে। তবে এ কাজটি আমাদের নয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের। তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা এগুলো নিয়ে কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, সব ড্রেন ও নদীর পাড় পরিষ্কার করা হয়েছে। কিছু নির্মাণকাজ চলমান থাকায় এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আমরা কাজ করছি। আশা করছি নতুন করে বৃষ্টি না হলে আগামী দু-একদিনের মধ্যে সব পানি নেমে যাবে।
সাখাওয়াত হোসেন/এসআর/জিকেএস