ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকাটা আমাদের জন্য ভালো বলে মনে করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দিল্লির সঙ্গেও আমাদের পরীক্ষিত বন্ধুত্ব। একাত্তর থেকে এই সম্পর্ক আমাদের। স্ট্র্যাটেজিক পলিসিতে দিল্লিরও আমাদের দরকার, আমাদেরও দিল্লিকে দরকার। মাঝখানে ২১ বছর সম্পর্কের অবনতি আমাদের কারও জন্য ভালো হয়নি। বিশেষ করে ভারত অনেক বড় দেশ। তাদের ক্ষতি অতটা নেই যতটা ক্ষতি আমাদের হয়েছে। আমাদের সঙ্গে তাদের ভালো সম্পর্ক থাকলে আমাদেরও অনেক কিছু ভালো হতো। যেমন ধরুন এখন বহুগুণ বেড়ে গেছে বাংলাদেশ ভারতের বাণিজ্য।
আরও পড়ুন: বিদেশে বন্ধু আছে, প্রভু নেই: কাদের
Advertisement
ভারত বাংলাদেশের তিন দিক থেকে বিস্তৃত- এমন তথ্য উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকা এটা আমাদের জন্য ভালো। তবে এই নয় যে আমি অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করবো। একটা দিক হচ্ছে যে ভারতের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক থাকলে আমরা কতটা লাভবান হই এটা কিন্তু গত কয় বছরে পরিষ্কার হয়ে গেছে। তার অর্থ আমরা অন্যদের বৈরী করবো তাও না। বৈরী করলে যেমন আজ আমরা পরমাণু ক্লাবের সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করছি। এখানে তো রাশিয়া সহযোগিতা...।
তিনি বলেন, তারপর ২৩ তারিখে আমাদের মেট্রোরেল আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এটাও জাপানের সহযোগিতায় এবং তাদের এখানে আর্থিক সহযোগিতাও আছে। তারপর চট্টগ্রামে আমাদের আরেকটা মেগা প্রজেক্ট নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব টানেল, এখানেও চীনের সহযোগিতা এবং সাহায্য আছে। কাজেই আমাদের নীতিটাই হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়।
আরও পড়ুন: তলে তলে অনেক কিছু হচ্ছে, আমি তো ভুল বলিনি: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবরা আগ বাড়িয়ে অনেক কথা বলেন। সেটার সঙ্গে আমাদের যে উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য তার কোনো মিল নেই। আপনারাই বলুন, বাংলাদেশের সত্যের জন্য যেটা বলতে হয় ইন্ডিয়া কখন আমাদের ইন্টারনাল ডেমোক্রেসিতে হস্তক্ষেপ করেছে? কোন ইলেকশনে? তাহলে এখানে আমরা ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় ক্ষমতায় থাকবো, এরকম উদ্ভট চিন্তা, আজব চিন্তা আমাদের মাথায় আসেনি। আমরা বুঝি সম্পর্কটা ভালো হলে অনেক দিক থেকেই ভালো।
Advertisement
আইএইচআর/বিএ/এএসএম