সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বিশিষ্ট আইনজীবী। পরিবেশবাদী সংগঠন ‘বেলা’র নির্বাহী প্রধান। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ‘পরিবেশ পুরস্কার’ এবং প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ‘গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ’ লাভ করেন। ২০০৯ সালে টাইম সাময়িকীর ‘হিরোজ অব এনভায়রনমেন্ট’ খেতাব পান। ২০১২ সালে রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার পান পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য। ২০২২ সালে তিনি আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কারে ভূষিত হন।
Advertisement
রাজধানী ঢাকার জীবনমান, উন্নয়ন ও পরিবেশ নিয়ে মুখোমুখি হন জাগো নিউজের। দুই পর্বের সাক্ষাৎকারে আজ থাকছে শেষটি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সায়েম সাবু।
জাগো নিউজ: আপনি বা আপনারা ঢালাওভাবে উন্নয়নের বিরোধিতা করে আসছেন বলে অভিযোগ আছে। ‘উন্নয়ন দেখলেই সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের মাথাব্যথা’ বলে তকমা পেয়েছেন। এর ব্যাখ্যা কী?
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: যেসব উন্নয়ন প্রকল্পের বিরোধিতা করি সেখানে আমার ব্যক্তি স্বার্থ কী আছে আপনি বের করেন। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের আমি বিরোধিতা করেছি। তার মানে এই নয় যে আমি সেখানে কয়লা সাপ্লাই দিতে চেয়েছি, কিন্তু পারিনি বলে বিরোধিতা করেছি। এ অভিযোগ আমার মতো অনেকের বিরুদ্ধেই। কিন্তু বের করুক না আমাদের এখানে স্বার্থ কী?
Advertisement
আরও পড়ুন>>ঢাকাবাসীর আয়ু গড়ে ৮ বছর কমছে
আমি কর দেই। আমার করের টাকায় উন্নয়ন হয়। কী উন্নয়ন হচ্ছে, তার জবাব চাইবো না আমি? আমরা উন্নয়নের বিরোধিতা করি না। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে উন্নয়নের বিরোধিতা করি।
‘আমি কর দেই। আমার করের টাকায় উন্নয়ন হয়। কী উন্নয়ন হচ্ছে, তার জবাব চাইবো না আমি? আমরা উন্নয়নের বিরোধিতা করি না। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে উন্নয়নের বিরোধিতা করি’
প্রকৃতিকে আপনি ঢেলে সাজাতে পারবেন না। প্রকৃতিকে মাঝখানে রেখে আপনি উন্নয়নকে ঢেলে সাজান। তাহলে আপনার সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ হবে না। কিন্তু আমি ভোগান্তি চাই না। ধানমন্ডি থেকে উত্তরায় বাসে করে গিয়ে আমার পক্ষে মিটিং করা সম্ভব? কেউ ঠিকমতো পারছে?
Advertisement
আমি সেই বাস সিস্টেমের শৃঙ্খলা চাই। আমি বেশি ব্যয়ে সমাধান চাই না, কারণ এগুলো তো ঋণ নিয়ে উন্নয়ন। এ ঋণ আমাকেই শোধ করতে হবে। সরকার কি আমার কাছে জানতে চেয়েছে ঋণ নিয়ে আমি উন্নয়ন চাই কি না? আমি বালু উত্তোলনের বিরোধী নই। কিন্তু বালু উত্তোলন করে সোমশ্বেরী নদী ধ্বংস করবেন, তা নিয়ে বিরোধিতা করবো না? বালু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দেশ, জনগণ কিছু পাচ্ছে? নদী মরে গেলে তো জনগণের নদীটা মরে গেলো।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
সরকার বলছে, নাব্য রক্ষায় বালু উত্তোলন করছে। তো সরকার করুক। ব্যবসায়ীর হাতে তুলে দিতে হবে কেন? আমরাও উন্নয়নের অংশীদার হতে চাই। আমরা চাই আমাদের মতামতের প্রতিফলন হোক। আমাদের টাকায় উন্নয়ন অথচ আমাদের সঙ্গে দূরত্ব থাকবে, তা তো হতে পারে না। আজ দেশের মানুষ কি উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে?
আরও পড়ুন>>ঢাকাসহ সারাদেশে ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল ভারতের মেঘালয়
আমরা হাউজিং প্রকল্পগুলোর বিরোধিতা করছি শুরু থেকেই। এ প্রকল্পগুলো কোনো না কোনোভাবে জলাশয় ভরাট করে হয়েছে। এগুলো না হলে তো জলাবদ্ধতা হওয়ার কথা ছিল না। আমরা বুঝি এর পরিণতি কী? যারা নীতিনির্ধারণী দায়িত্বে থাকেন, তারা তো পরিণতি ভোগ করেন না। তারা হেলিকপ্টারে চলাফেরা করতে পারেন।
জাগো নিউজ: উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে মানুষ, এটি কি অস্বীকার করা যায়? উন্নয়নের দৃশ্যমান রূপ তো আছে?
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: উন্নয়নের দৃশ্যমান রূপ যেমন আছে, তেমনি পরিবেশ ধ্বংসের রূপও আছে। আপনার ছোটবেলায় যে নদী, বন ছিল, তা এখনো সেই রূপে আছে?
অনেকগুলো মেট্রোরেল বানাতে পারবেন। কিন্তু একটি নদী কি বানাতে পারবেন? নদী ধ্বংস করে ট্যানারি ব্যবসা করতে পারেন না। একশটা ট্যানারি শিল্পকে বাঁচাতে গিয়ে বুড়িগঙ্গাকে ধ্বংস করলাম, এখন ধলেশ্বরীকে ধ্বংস করছি। যারা উন্নয়ন উন্নয়ন করে অস্থির, তারা ধলেশ্বরী পাড়ে ট্যানারি শিল্প এলাকায় তিন রাত কাটিয়ে আসেন। উন্নয়ন শব্দ আর মুখ দিয়ে বের হবে না।
‘আমরা হাউজিং প্রকল্পগুলোর বিরোধিতা করছি শুরু থেকেই। এ প্রকল্পগুলো কোনো না কোনোভাবে জলাশয় ভরাট করে হয়েছে। এগুলো না হলে তো জলাবদ্ধতা হওয়ার কথা ছিল না। আমরা বুঝি এর পরিণতি কী? যারা নীতিনির্ধারণী দায়িত্বে থাকেন, তারা তো পরিণতি ভোগ করেন না। তারা হেলিকপ্টারে চলাফেরা করতে পারেন’
জাগো নিউজ: এই যে আপনারা ধারাবাহিকভাবে পরিবেশের পক্ষে অবস্থান নিয়ে কথা বলছেন, সরকার আমলে নিলো না কেন?
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: এটি বোধের ব্যাপার। উন্নয়নে ভোট আসে নাকি পরিবেশ রক্ষায় ভোট আসে সেটা বুঝতে হবে।
ধরুন, যে পরিমাণ খেলার মাঠ দরকার, তার দশ ভাগের এক ভাগও নেই। এমন অবস্থায় আপনি যদি বাহাদুর শাহ পার্কে ক্যান্টিনের অনুমোদন দেন, ধূপখোলায় যদি মার্কেট করে দেন, তাকে তো আমি উন্নয়ন বলতে পারি না। এগুলো হচ্ছে রাজনৈতিক কর্মীদের পুনর্বাসনের প্রকল্প। আমজনতার কথা ভেবে এগুলো করা হয় না। কেন আমাকে ধূপখোলা মার্কেট নিয়ে মামলা করতে হবে?
আরও পড়ুন>>বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ, প্রস্তুতিতে পিছিয়ে
সরকারের দর্শন কেন এমন হবে না যে, খেলার মাঠ ধ্বংস করে উন্নয়ন হতে পারে না। আমার উন্নয়নের অধিকার আছে, পরিবেশের অধিকারও আছে। আপনি ঢাকায় কোথাও পরিবার নিয়ে চুপচাপ বসে প্রকৃতি উপভোগ করার সুযোগ পাবেন? কোন সংজ্ঞায় এটিকে উন্নয়ন বলে, আমাকে বোঝান। এ কারণেই সরকারের উন্নয়নের সঙ্গে আমাদের সাংঘর্ষিক অবস্থায় যেতে হয়। সরকার তো নিজের টাকা দিয়ে উন্নয়ন করে না। আমার-আপনার টাকা দিয়ে করে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
রোড ডিভাইডারের মাঝখানের গাছ কেটে ফুলের গাছ লাগাচ্ছে। আপনাকে ফুলের গাছ লাগাতে বলছে কে? এ দর্শন আপনি কোথায় পেলেন? আপনার দর্শন আমার ওপরে চাপিয়ে দিচ্ছেন কেন? আমার কাছে জানতে চান আমি আসলে কী চাই। তাহলে আর দূরত্ব থাকবে না। আমাকে কে উন্নয়নবিরোধী বললো, তা বিবেচ্য নয়। আমার জন্য জরুরি হলো, পরের প্রজন্মের জন্য বিশুদ্ধ নদী, বাতাস, খাদ্য নিশ্চিত করা। এগুলো থাকলে এত উন্নয়নের প্রয়োজন পড়ে না।
জাগো নিউজ: আসলে বেঁচে থাকার উপায় কী?
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: উপায় বলা মুশকিল। উপকূলীয় অঞ্চল লবণাক্তায় ভরে যাচ্ছে। তারা প্রথমে খুলনায় আসছে। এখন রাজধানীতে চলে আসছে।
আমার কাছে মনে হয়, ঢাকা শহর নিয়ে একটি দর্শন বের করা দরকার। এখানকার তিন কাঠা মাটি একেকটি খনির পাহাড় যেন। এই খনিকে গ্রাস করছে ভূমিদস্যুরা। এই দস্যুদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে। রাজউককে পুনর্গঠন করতে হবে। ১৯৫২ সালের আইন দিয়ে রাজউক চলে। সেখানে পরিবেশ, জলাশয়, নদী শব্দই উল্লেখ করা নেই। এই শব্দগুলো আনতে হবে।
আরও পড়ুন>>দেশকে ভূমিকম্প সহনীয় করতে ৫০ বছর লাগতে পারে: প্রতিমন্ত্রী
রাজউকের সঙ্গে জনগণের বিশ্বাসের সম্পর্ক নেই। রাজউকের বোর্ডে দলীয় নিরপেক্ষ পেশাজীবীদের জায়গা দিতে হবে, যারা আঙুল তুলে বলবে ব্যবসায়ীদের পকেট ভরা উন্নয়ন নয়। তবে প্রথম বিবেচ্য হচ্ছে সব সংস্কারের জন্য জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে।
‘ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট অঞ্চল হচ্ছে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। টাঙ্গাইলের যে ফল্টটা আছে, সেখানে যদি ৭ দশমিক ৫ মাত্রার কম্পন সৃষ্টি হয় তাহলে ৭২ হাজারের মতো ভবন ধসে পড়বে এবং ৫৬ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এবার আপনি জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটা হিসাব করে নিন’
এই ডেঙ্গুর প্রকোপ চলছে, আপনি কি দেখেছেন কোনো ওয়ার্ড কমিশনার এসে আপনার বাসায় খবর নিচ্ছেন? কোনো পরামর্শ পেয়েছেন? সিটি করপোরেশন জাস্ট জরিমানা আর আইন প্রয়োগ নিয়ে ব্যস্ত। যাদের বাসায় জরিমানা করছে, তারা এমনিতেই সচেতন। আসলে লাঠি পিটিয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলা যায় না। আমরা একটি নগর সরকারের কথা চিন্তা করতে পারি।
ভূগর্ভস্থ পানি ভয়াবহভাবে নিচে নেমে যাচ্ছে। আমরা গত কয়েক মাসে বেশ ক’বার ভূমিকম্প দেখতে পেলাম। পানির স্তর নিচে নামার কারণে ভূমিকম্পের ঝুঁকি আরও বাড়ছে।
জাগো নিউজ: কী বার্তা মিলছে পরপর এসব ভূমিকম্প থেকে? সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট অঞ্চল হচ্ছে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। টাঙ্গাইলের যে ফল্টটা আছে, সেখানে যদি ৭ দশমিক ৫ মাত্রার কম্পন সৃষ্টি হয় তাহলে ৭২ হাজারের মতো ভবন ধসে পড়বে এবং ৫৬ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এবারে আপনি জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটা হিসাব করে নিন। ঢাকায় ৮ দশমিক ৫ মাত্রার কম্পন হলে দুই লাখ ঘরবাড়ি ধসে পড়বে। কী ঘটবে একবার চোখ বন্ধ করে কল্পনা করেন।
নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডের কথা মনে আছে নিশ্চয়। চোখের সামনে কতগুলো মানুষ পুড়ে ছাই হলো। অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতেই পারলো না। আমরা কি সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েছি? প্রতিদিন পুরান ঢাকায় ছোট বা মাঝারি আকারে অগ্নিকাণ্ড ঘটছে। অথচ আমরা প্রস্তুত হইনি।
আমি আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রাখি। এক বছরে ছয়বার ভূমিকম্প আমাদের জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা বলে মনে করি। আমাদের সতর্ক হতে হবে। বন্যা বা ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমাদের এক্সপার্ট আছে। কিন্তু ভূমিকম্প মোকাবিলায় আমাদের সেই সক্ষমতা নেই। আমি সরকারের কাছে জোর আহ্বান জানাচ্ছি ভূমিকম্পের ক্ষতি মোকাবিলায় এখনই প্রস্তুতি নিন। সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন করে তুলতে হবে। আতঙ্কের মধ্যে সবাই আছি। এ আতঙ্ক আরও ক্ষতির কারণ হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
করোনার পর আমরা আতঙ্ক থেকে বের হতে পারছি না। করোনা গেলো তো ডেঙ্গু। এখন ভূমিকম্পের আতঙ্ক। দ্রব্যমূলের আতঙ্ক তো আছেই। আমরা সবাই যেন আতঙ্কের জীবনযাপন করছি। এর মধ্যে আমরা বিমর্ষ হয়ে পড়ছি।
জাগো নিউজ: অভিযোগ আছে সরকারের উন্নয়নের মতো পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোও রাজধানীকেন্দ্রিক আন্দোলন করে আসছে। দেশের অন্য শহরগুলো নিয়ে সেই অর্থে ভাবে না। বিকেন্দ্রীকরণ প্রশ্নে কী বলবেন?
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: আমরা সব সময় বিকেন্দ্রীকরণের পক্ষে। উন্নয়ন কেন্দ্রীভূত হোক এটি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। একইভাবে আমরা ক্ষমতারও বিকেন্দ্রীকরণ চাই। আমার হাতে আপনার হাতে নয়। ক্ষমতা থাকুক জনগণের হাতে। আমি একজন আইনজীবী হিসেবে একজন ক্ষতিগ্রস্তকে সেবা দেবো। আপনি সাংবাদিক হিসেবে সমাজের বিচ্যুতি তুলে আনবেন।
আমরা কোনোভাবেই ঢাকাকেন্দ্রিক আন্দোলন করি না। তবে মনে রাখা দরকার ঢাকায় যত ধরনের সমস্যা, ঢাকার বাইরে তত সমস্যা নেই। মানুষ আসলে বিপদে পড়ে ঢাকায় থাকে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিকেন্দ্রীকরণ, গার্মেন্টগুলো ঢাকার বাইরে ছড়িয়ে দিতে পারলে ঢাকার ওপর চাপ এমনিতেই কমে যাবে। গার্মেন্ট শ্রমিকরা যেভাবে বসবাস করে, শ্রম দেয় একে জীবন বলে না। আর কোনো কিছু করার নেই বলে তারা এই চাকরি করে।
আপনি আসার আগে আমি সোমেশ্বরী নদী বাঁচানোর জন্য ওই অঞ্চলের জেলা প্রশাসককে চিঠি লিখছিলাম। আশার কথা হচ্ছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখন নদী রক্ষায় সচেতন হয়ে উঠছে। আমরা যত মামলা করি তার বেশিরভাগই ঢাকার বাইরে। আমি বুড়িগঙ্গা নিয়ে মামলা করলে আপনি যতটুকু গুরুত্ব দেবেন, সোমেশ্বরী নদী নিয়ে মামলা করলে ততটুকু গুরুত্ব দেবেন না। এখানেই তফাৎটা।
এএসএস/এএসএ/এএসএম