দেশজুড়ে

রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত, পানিতে ভাসছে নগরী

রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। বৃষ্টিতে রাজশাহীর নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।

Advertisement

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, রাজশাহীতে সেপ্টেম্বর মাসে বৃষ্টি হয়েছে ২৫৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার। চলতি মাসের পাঁচদিনে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৩৬ দশমিক ৯ মিলিমিটার। বুধবার ভোর ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ১৬৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। শুধু বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে ৪৫ দশমিক ৮ মিলিমিটার। এটি চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড। এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা হেলেন খান বলেন, রাজশাহীসহ সারাদেশে ভারী বর্ষণ চলছে। এটি আগামী দু-একদিন থাকতে পারে। এরপর আবহাওয়া স্বাভাবিক হবে।

এদিকে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতে পানিতে ভাসছে রাজশাহী নগরী। নগরীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও রাস্তার ওপর গাছ ভেঙে পড়েছে। পাড়া-মহল্লার ঘরে ঢুকেছে পানি। আকস্মিক এ ভারী বর্ষণে বিপাকে পড়েছেন নগরবাসী।

Advertisement

আরও পড়ুন: ভারি বৃষ্টিতে রাজশাহী নগরীতে জলাবদ্ধতা

নগরীর বর্ণালি মোড় এলাকায় দেখা যায়, সড়কে হাঁটুসমান পানি জমেছে। এ মোড় থেকে সাহেববাজারের দিকে নেমে যাওয়া রাস্তাটিতে কোমর পানি। কাদিরগঞ্জ হয়ে দড়িখড়বোনা-রেলগেট সড়কেও হাঁটুসমান পানি জমে ছিল। এছাড়া নগরীর লক্ষ্মীপুর, উপশহর, ভদ্রাসহ মূল শহরের বাইরের এলাকাগুলোতেও পানি জমে গেছে। এতে চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

নগরীর মুসলেম হাই স্কুলের মোড়, হেতেমখাঁ, ষষ্টিতলা, তেরখাদিয়া, ডাবতলাসহ বেশ কিছু এলাকার বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এতে জলাবদ্ধতায় আটকে পড়েছে মানুষ।

নগরীর ষষ্টিতলার বাসিন্দা দিপু সরকার বলেন, আমাদের বাড়িতে পানি চলে এসেছে। রাত থেকে পানিতে ডুবে আছে। এরমধ্যে কষ্ট করেই আমাদের থাকতে হচ্ছে। এখন পানি বের না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কিছু করার নেই।

Advertisement

নগরীর মহিলা কলেজ রোডে রিকশা চালাচ্ছেন মিনারুল ইসলাম। তিনি বলেন, সব রাস্তা ডুবে গেছে। কোথায় ভাঙা আছে বুঝছি না। এখন বৃষ্টিতে আর পেট বসে থাকবে না। তাই যত কিছুই হোক কাজ করতেই হবে। আমাদের রাস্তা চিনতে সমস্যা হচ্ছে। তবুও কষ্ট করেই পানি ভেঙে চলতে হচ্ছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাজদার হোসেন বলেন, রাজশাহী হঠাৎ এমন ভারী বর্ষণের কারণে আমাদের কিছু ক্ষতি হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পানি নেমে গেলে পেঁয়াজের ক্ষতি হবে না। আর কালাই রোপণ করার সময় এখনও আছে।

সাখাওয়াত হোসেন/আরএইচ/এএসএম