দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ে আসা প্রসঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমাকে ডেকেছে তাই এসেছি, আমার আর কিছু বলার নেই।’
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুদক কার্যালয় থেকে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আইনজীবী এবং গ্রামীণ টেলিকমের দুই কর্মকর্তাসহ দুদক কার্যালয়ে আসেন ড. ইউনূস। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন দুদকের উপপরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধান।
প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান শেষে কার্যালয়ে থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস।
Advertisement
আরও পড়ুন>> দুদকে হাজির ড. ইউনূস
দুদক কী জানতে চেয়েছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নোবেলয়ী এ অধ্যাপক বলেন, ‘আমার কোনো মন্তব্য নেই। তবে আপনারা কষ্ট করে এসেছেন সেজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।’ এরপর উপস্থিত সংবাদিকদের সালামও দেন তিনি।
গত ৩০ মে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে আসামি করে মামলাটি করে দুদক। মামলায় ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এসএম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী। এছাড়া অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
Advertisement
এসএম/ইএ/এমএস