আন্তর্জাতিক

সিকিমে আকস্মিক বন্যায় ১০ জনের মৃত্যু

পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী রাজ্য সিকিমে আকস্মিক বন্যায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিস্তার ভয়ানক গ্রাসে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। সিকিম সরকার সূত্রে জানা গেছে, এ আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়। নিখোঁজ হয়েছে প্রায় ৮২ জন। এর মধ্যে ২২ জন ভারতীয় সেনা সদস্য। তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।

Advertisement

বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে সিকিমের লোহনাক হ্রদে মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটে। যার জেরে বন্যা দেখা দেয়। সিকিমের চুংথাংয়ে একটি নদীবাধ সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। ওই এলাকায় প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সিকিম সরকার এরই মধ্যে এ ঘটনাকে বিপর্যয় ঘোষণা করে।

এ বন্যার ফলে প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চল দার্জিলিং, কালিম্পং, ডুয়ার্স, জলপাইগুড়ির প্রায় সব রাস্তাঘাটই পানির নিচে।

পশ্চিমবঙ্গের গাজলডোবা ব্যারেজে ভেসে আসছে মরদেহ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এখন পর্যন্ত ব্যারেজে ২টি মরদেহ দেখা গেছে।

Advertisement

দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক আটকে পড়েছে সিকিমে। সিকিম সরকারের সূত্রে জানানো হয়, প্রায় তিন হাজার পর্যটক আটকে রয়েছে সেখানে।

সিকিমে গিয়ে নিখোঁজ পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জের দুই ভাই সহ ৩ যুবক। তাদের মধ্যে দুজন রায়গঞ্জ শহরের উকিলপাড়ার বাসিন্দা ও স্বর্ণদ্বীপ মজুমদার ও তার দাদার শ্রীকান্ত মজুমদার ও আরেকজন তাদের বন্ধু ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বাসিন্দা ঈশান।

তাদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর রায়গঞ্জ থেকে মোটরবাইক নিয়ে সিকিমের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা। গত মঙ্গলবার ২ অক্টোবর রাতে শেষ তাদের সাথে ফোনে কথা হয়। বুধবার ৪ অক্টোবর তাদের সঙ্গে কোনোভাবেই মোবাইলে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে পরিবারের দাবি। এরই মধ্যে রায়গঞ্জ থানায় দারস্ত হয়েছেন স্বর্ণদ্বীপ মজুমদারের বাবা।

ডিডি/এমআইএইচএস

Advertisement