আন্তর্জাতিক

নোবেল কমিটির ফোনে ঘুম ভাঙলো শিক্ষকের

দিন শুরুর কী দারুণ উপায়! ঘুম ভাঙতেই ‘আপনি নোবেল পুরস্কার জিতেছেন’- এই বাক্যটি শুনতে পারা যে কারও জন্যই স্বপ্নের মতো। সেই স্বপ্নই যেন সত্য হয়ে এলো মুঙ্গি বাওয়েন্ডির জন্য।

Advertisement

এ বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন তিন বিজ্ঞানী- আলেক্সি একিমভ, লুই ব্রুস ও মুঙ্গি বাওয়েন্ডি। কোয়ান্টাম ডটের আবিষ্কার এবং এর উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য বিশ্বের সর্বোচ্চ এই সম্মাননা পেয়েছেন তারা।

আরও পড়ুন>> যে আবিষ্কারে এসেছে এলইডি লাইট-মনিটর, সেটাই দিলো রসায়নে নোবেল

বুধবার (৪ অক্টোবর) র‌য়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস স্টকহোম থেকে যখন এই পুরস্কার ঘোষণা করে, তখন ঘুমিয়ে ছিলেন বিজয়ী বাওয়েন্ডি। নোবেল কমিটির ফোন পেয়েই ঘুম ভাঙে তার।

Advertisement

বাওয়েন্ডির জন্ম প্যারিসে। বেড়ে উঠেছেন ফ্রান্স, তিউনিসিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে। যার অধীনে বেল ল্যাবরেটরিতে পোস্টডক্টরাল করেছিলেন, সেই লুই ব্রুসের সঙ্গেই নোবেল পুরস্কার ভাগাভাগি করতে পারা নিঃসন্দেহে দারুণ আনন্দের বিষয় তার জন্য।

পুরস্কার জেতার প্রতিক্রিয়ায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাওয়েন্ডি জানিয়েছেন, নোবেল কমিটি সকালে যখন ফোন করেছিল, তখন তিনি বেঘোরে ঘুমাচ্ছিলেন। কমিটির ফোন পেয়েই ঘুম ভাঙে তার।

আরও পড়ুন>> নোবেল কমিটির ফোন পেয়ে অ্যানি বলেন, আমি ব্যস্ত, ক্লাস নিচ্ছি

এভাবে ঘুম থেকে উঠেই নোবেল জয়ের খবর পাওয়া বাওয়েন্ডির মতে, ‘অপ্রত্যাশিত, তবে খুবই চমৎকার’।

Advertisement

"I’m supposed to teach at 9am today and I have no idea what’s going to happen."Exclusive: listen to our phone call with new #NobelPrize laureate Moungi Bawendi right after he found out he had been awarded the 2023 chemistry prize. pic.twitter.com/N8V6wtToDc

— The Nobel Prize (@NobelPrize) October 4, 2023

পুরস্কার পাওয়ার খবরের পর প্রথম প্রতিক্রিয়া কী ছিল জানতে চাইলে মার্কিন এ বিজ্ঞানী বলেন, আমি নিশ্চিত ছিলাম না এটি সত্য কি না। আমি ঘুম থেকে জেগে ওঠার চেষ্টা করছিলাম। আর আমার স্ত্রী চিৎকার করছিল, কী হচ্ছে, কী হচ্ছে? তারপরে আমি বুঝতে পারলাম, বিষয়টি সত্য। এটি আসলেই অনেক বড় সম্মান।

নিজের শিক্ষক ব্রুসের সঙ্গে পুরস্কার ভাগাভাগি করছেন, এ প্রসঙ্গে বাওয়েন্ডি বলেন, তিনি একজন অসাধারন মেন্টর। বিজ্ঞানের প্রতি নিবেদিত প্রাণ। আমি তার কাছ থেকে বহু কিছু শিখেছি। তিনিই আমাকে বিজ্ঞানী হিসেবে গড়ে তুলেছেন।

আরও পড়ুন>> অর্থমূল্য বাড়ছে নোবেল পুরস্কারের, কত পাবেন বিজয়ীরা?

মুঙ্গি বাওয়েন্ডি ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে সেখানকার অধ্যাপক হন। আজও শিক্ষার্থীদের পড়ানোর কথা রয়েছে বাওয়েন্ডির।

শিক্ষক নোবেল জেতায় শিক্ষার্থীরা কিংবা এমআইটি কর্তৃপক্ষ কী করতে পারে, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল বাওয়েন্ডির কাছে। তিনি বলেন, আমার কোনো ধারণাই নেই কী হতে চলেছে।

কেএএ/