দেশজুড়ে

প্রতিপক্ষের বিষে কপাল পুড়লো মাছচাষির

শরীয়তপুরে জব্বার দেওয়ান (৩৬) নামের এক মাছচাষির পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী মাছচাষি।

Advertisement

বুধবার (৪ অক্টোবর) ভোরে সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সারেঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষি জব্বার দেওয়ান ৪ জনের নাম উল্লেখ করে পালং মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নড়িয়া উপজেলার হাসের কান্দি এলাকার আক্কেল দেওয়ানের ছেলে জব্বার দেওয়ান সদর উপজেলার পশ্চিম সারেঙ্গা এলাকার আব্দুল গণি খানের কাছ থেকে ২টি পুকুর লিজ নিয়ে মাছচাষ করে আসছিলেন। পরে ওই এলাকার মৃত রহেম মাদবরের ছেলে সাইদ মাদবর (৫৫) জব্বার দেওয়ানের কাছ থেকে ছোট পুকুরটি মাছচাষ করার জন্য কিনে নেন। সাইদ মাদবর বড় পুকুরটিও কিনতে চাইলে জব্বার দেওয়ান তা বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানান। এই নিয়ে জব্বার দেওয়ান ও সাইদ মাদবরের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার ভোরে জব্বার দেওয়ানের পুকুরে বিষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সাইদ মাদবর ও তার তিন ছেলে ফোরহাদ মাদবর (২৮), বিল্লাল মাদবর (৩০) ও আক্তার মাদবরের (২৫) বিরুদ্ধে।

বিষের প্রভাবে ঘেরের রুই, কাতল, সিলভারকাপসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে ওঠে। পরে এ ঘটনায় দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জব্বার দেওয়ান।

Advertisement

ভুক্তভোগী মাছচাষি জব্বার দেওয়ান বলেন, আমি ধারদেনা করে গণি খানের কাছ থেকে ২টি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করি। এরমধ্যে ছোট পুকুরটি সাইদ মাদবর আমার কাছে থেকে কিনতে চাইলে আমি তাদের কাছে বিক্রি করি। পরে বড় পুকুরটিও তারা কিনতে চাইলে আমি আর তাদের দেইনি। এই জেদেই তারা আমার এতবড় ক্ষতি করেছে। আমি এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার চাই। পাশাপাশি আমার ক্ষতিপূরণের দাবি জানাই।

পুকুর মালিক গণি খান বলেন, জব্বার আমার থেকে ২টি পুকুর আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছে। পরে জব্বারের কাছ থেকে ছোট পুকুরটি সাইদ মাদবর নিয়ে মাছচাষ শুরু করে। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠলে পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে ওঠা দেখে জব্বারকে জানাই।

এ বিষয়ে পালং মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় মাছচাষি জব্বার দেওয়ান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বিধান মজুমদার অনি/এফএ/জিকেএস

Advertisement