২০২৩ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন আলেক্সি একিমভ, মুঙ্গি বাওয়েন্ডি ও লুই ব্রুস। কোয়ান্টাম ডটের আবিষ্কার এবং এর উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য বিশ্বের সর্বোচ্চ এই সম্মাননা পেলেন তারা।
Advertisement
ন্যানো প্রযুক্তির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কোয়ান্টাম ডট। বর্তমান যুগে এলইডি লাইট, টিভি স্ক্রিন তৈরির পাশাপাশি মানবদেহ থেকে ক্যানসারের টিস্যু অপসারণে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এটি।
আরও পড়ুন>> রসায়নে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী
বুধবার (৪ অক্টোবর) নোবেল বিজয়ী হিসেবে একিমভ, বাওয়েন্ডি ও ব্রুসের নাম ঘোষণা করে রসায়নের নোবেল কমিটি। এই কমিটির প্রধান জোহান অ্যাকভিস্ত বলেছেন, দীর্ঘসময় কেউ ভাবতেই পারেনি, আপনি এত ক্ষুদ্র কণা তৈরি করতে পারবেন। কিন্তু এ বছরের (পুরস্কার) বিজয়ীরা তাতে সফল হয়েছিলেন।
Advertisement
The 2023 #NobelPrize in Chemistry rewards the discovery and development of quantum dots, nanoparticles so tiny that their size determines their properties.These particles have unique properties and now spread their light from television screens and LED lamps. They catalyse… pic.twitter.com/6rZxVFjXya
— The Nobel Prize (@NobelPrize) October 4, 2023কোয়ান্টাম ডট আবিষ্কার ও উন্নয়নে এ তিন বিজ্ঞানীর অবদান কী ছিল সেটিও ব্যাখ্যা করেছে নোবেল কমিটি।
আরও পড়ুন>> নোবেল কমিটির ফোন পেয়ে অ্যানি বলেন, আমি ব্যস্ত, ক্লাস নিচ্ছি
তারা জানিয়েছে, ১৯৮০’র দশকে রঙিন কাঁচে আকার-নির্ভর কোয়ান্টাম ইফেক্টস তৈরিতে সফল হন আলেক্সি একিমভ। রঙটি কপার ক্লোরাইডের ন্যানো পার্টিকেল থেকে এসেছিল। কোয়ান্টাম ইফেক্টসের মাধ্যমে কণার আকার কাচের রঙকে প্রভাবিত করে, তা দেখিয়েছিলেন একিমভ।
Advertisement
এর কয়েক বছর পরে, তরলের মধ্যে অবাধে ভাসমান কণার ওপর আকার-নির্ভর কোয়ান্টামের প্রভাব প্রথমবারের মতো প্রমাণ করেন বিজ্ঞানী ব্রুস।
এরপর ১৯৯৩ সালে কোয়ান্টাম ডটগুলোর রাসায়নিক উৎপাদন পরিবর্তন করেন বাওয়েন্ডি। এর ফলে যা তৈরি হয়, তাকে ‘প্রায় নিখুঁত কণা’ হিসেবে অভিহিত করেছে নোবেল কমিটি।
তিন বিজ্ঞানীর বৃত্তান্তবাওয়েন্ডি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) অধ্যাপক, ব্রুস কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং একিমভ ন্যানোক্রিস্টালস টেকনোলজি ইনকরপোরেটেডের জন্য কাজ করেন।
আরও পড়ুন>> অর্থমূল্য বাড়ছে নোবেল পুরস্কারের, কত পাবেন বিজয়ীরা?
ব্রুস পড়াশোনা করেছেন রাইস এবং কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। মার্কিন নৌবাহিনীর বৃত্তি নিয়ে সেখানেই বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। ১৯৭২ সালে এটিঅ্যান্ডটি বেল ল্যাবসে নিয়োগ পান ব্রুস, যেখানে দীর্ঘ ২৩ বছর কাটিয়েছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ সময়ই কেটেছে ন্যানোক্রিস্টাল গবেষণায়।
নোবেল বিজয়ী তৃতীয় বিজ্ঞানী বাওয়েন্দি প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন। বেড়ে ওঠেন ফ্রান্স, তিউনিসিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি ব্রুসের অধীনে বেল ল্যাবরেটরিতে পোস্টডক্টরাল গবেষণা করেন। ১৯৯০ সালে এমআইটিতে যোগ দেন এবং ১৯৯৬ সালে সেখানকার অধ্যাপক হন বাওয়েন্দি।
সূত্র: সিএনএন, রয়টার্সকেএএ/