রাজনীতি

রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাদ দিলে দেশ অচলের হুঁশিয়ারি

সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে বাদ দেয়া হলে দেশ অচলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা। শুক্রবার জুমার নামাজের পর চট্টগ্রাম মহানগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ চত্বরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ হুঁসিয়ারি দেন তারা।নেতারা বলেন, আগামী রোববার সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাদ দিয়ে রায় দেয়া হলে পরদিন থেকে সারাদেশ অচল করে দেয়া হবে। প্রয়োজনে শাপলা চত্বরের মত আবারো রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। তারপরও ইসলামের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হতে দেয়া হবে না।সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম মুছে দেয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও মিছিল কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে হেফাজতের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় লালদীঘি, আন্দরকিল্লা, জামালাখান, চেরাগী পাহাড়, মোমিন রোড এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিপুল সংখ্যক পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ও সংবাদ কর্মীরা আন্দরকিল্লার আশে পাশে অবস্থান নেয়।  সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রিয় মহাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রক্ষার জন্য প্রয়োজনে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেবো। তারপরও ইসলামের মর্যাদাহানী হতে দেবো না। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হলে কারো সমস্যা হওয়ার কথা না। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সব ধর্মের লোকজন শান্তিতে থাকবে। কারণ ইসলাম শান্তির ধর্ম। এখানে জঙ্গি কিংবা সন্ত্রাসের কোন স্থান নেই। তিনি জাতীয় ফুল, জাতীয় মাছ, জাতীয় ফল, জাতীয় পাখি এবং রাষ্ট্র ভাষার উদাহারণ টেনে বলেন, এসব যদি সংবিধানে থাকতে পারে তাহলে ৯৫ ভাগ মুসলমানের ধর্ম ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হতে পারবে না কেন ?জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, আমরা কারো পক্ষে-বিপক্ষে না, কাউকে ক্ষমতায় রাখা বা ক্ষমতাচুত্য করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। গদি দখল করারও ইচ্ছা আমাদের নেই। আমরা ইসলামের পক্ষে। ইসলাম নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করলে আমরা প্রাণ দিতে পারবো।সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাঈনুদ্দিন রুহি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। কোটি কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। সে ঘটনা ধামাচাপা দিতেই সরকার এ মূহূর্তে সংবিধান থেকে ইসলামকে বাধ দেয়ার রিটটি সামনে এনেছে। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ইসলাম ধর্ম নিয়ে খেলা করবেন না। সংবিধান থেকে যদি ইসলাম ধর্ম মুছে ফেলার চেষ্টা হয় তাহলে এ চট্টগ্রাম থেকেই যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে।সমাবেশে হেফাজতের কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব ইলিয়াছ ওসমানী, ঢাকা মহানগর যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম, হেফাজত নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল হক, অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, আ ন ম আহমদ উল্লাহ,মওলানা ইসহাক, কামরুল ইসলাম কাসেমী, জয়নাল আবেদিন কুতুবী, জুনায়েদ জহুর, জালাল উদ্দিন, আব্দুর রউফ,আশরাফ বিন মওদুদ, ওসমান কাসেম ও মাওলানা সাব্বির আহমদ বক্তব্য রাখেন। জীবন মুছা/এসকেডি/এমএস

Advertisement