উজানে তিস্তা নদীর পানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ দেশের উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলার (লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা) তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
Advertisement
বুধবার (৪ অক্টোবর) তিস্তা নদীর আকস্মিক বন্যা পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: বিপৎসীমার ওপরে দক্ষিণের ৮ নদীর পানি
পূর্বাভাস সম্পর্কিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের (সিডব্লিউসি) তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গজলডোবা পয়েন্টে পানি সমতল গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে প্রায় ২৮৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে (বর্তমান পানি সমতল ১১০ দশমিক ৩০ মিটার) এবং দোমুহুনী পয়েন্টে বুধবার সকাল থেকে প্রায় ৮২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে (বর্তমান পানি সমতল ৮৫ দশমিক ৯৫ মিটার) এবং তা অব্যাহত আছে।
Advertisement
মঙ্গলবার সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী, ডালিয়া পয়েন্টের পানি সমতল ৫১ দশমিক ৩৫ মিটার (বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার নিচে)। সেখানে আজ বুধবার সকাল থেকে বৃদ্ধি পেতে পারে। বুধবার বিকেল নাগাদ বিপৎসীমা অতিক্রম করে মধ্যরাত পর্যন্ত বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর পর্যন্ত উঠতে পারে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে দেখা দিতে পারে বন্যা
বুধবার সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী, তিস্তা নদী কাউনিয়া পয়েন্টের পানি সমতল ২৮ দশমিক ১৫ মিটার (বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার নিচে) জানিয়ে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, সেখানে বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ বিপৎসীমা পার হতে পারে। ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
Advertisement
আরও পড়ুন: তিস্তায় বাড়ছে পানি, খুলে দেওয়া হয়েছে ৪৪ গেট
আরএমএম/এমকেআর/জিকেএস